২০২৮ সাল

টেলিকম ও নেটওয়ার্ক এপিআই খাতের বৈশ্বিক ব্যয় দাঁড়াবে ৬৭০ কোটি ডলার

বণিক বার্তা ডেস্ক

ক্লাউড থেকে শুরু করে ডিজিটাল প্লাটফর্ম পরিষেবা কোম্পানিগুলো ডিজিটাল অবকাঠামোর দিকে ঝুঁকছে ছবি: স্মার্টফোন ম্যাগাজিন

বৈশ্বিক পর্যায়ে টেলিকম নেটওয়ার্ক এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) খাতে ব্যয় বাড়াচ্ছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৮ সাল নাগাদ মোট ব্যয় ৬৭০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসির তথ্যের বরাতে ইয়াহু ফাইন্যান্স প্রকাশিত খবরে তথ্য উঠে এসেছে।

অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) হচ্ছে এক ধরনের যোগাযোগমাধ্যম। এর মাধ্যমে একাধিক সফটওয়্যারের মধ্যে যোগাযোগ করা যায় এবং তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। আইডিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৮ সাল পর্যন্ত খাতের বার্ষিক বৃদ্ধির হার ৫৭ দশমিক শতাংশের বেশি থাকবে। গত বছর খাতের মোট আয় ছিল ৭০ কোটি ডলারের বেশি।

দীর্ঘদিন থেকে মোবাইল কানেক্টিভিটি সরবরাহের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে কমিউনিকেশন পরিষেবা কোম্পানিগুলো। কয়েক দশক ধরে এটি লাভজনক কৌশল হিসেবে কাজ করে আসছে। বছরের পর বছর কানেক্টিভিটি পরিষেবা দেয়ার মাধ্যমে কোম্পানিগুলো ভালো মুনাফা আয় করেছে। কিন্তু ক্লাউড থেকে শুরু করে অন্যান্য ডিজিটাল প্লাটফর্ম পরিষেবা দেয়া কোম্পানিগুলো ডিজিটাল অবকাঠামোর দিকে ঝুঁকছে। ফলে অনেক পরিষেবা কোম্পানি শুধু সংযোগ দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে।

অন্যভাবে বলতে গেলে, কমিউনিকেশন পরিষেবা কোম্পানিগুলো ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি নেটওয়ার্ক ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য যে সক্ষমতা প্রয়োজন সে বিষয়ে সমানভাবে কাজ করতে পারেনি।

কানেক্টিভিটি বা সংযোগ দেয়ার বিষয় পর্যায়ক্রমে বাণিজ্যিক হয়ে পড়ায় সব ধরনের শিল্প খাত ডিজিটাল সক্ষমতানির্ভর প্লাটফর্মের দিকে ঝুঁকেছে। প্লাটফর্মনির্ভর বাণিজ্যের বিষয়টি মার্কেটপ্লেস অর্থনীতির ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছে। কিন্তু কমিউনিকেশন পরিষেবা কোম্পানিগুলো সেভাবে এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারেনি।

বর্তমানে ফাইভজি নেটওয়ার্ক এপিআইয়ের মাধ্যমে কমিউনিকেশন পরিষেবা কোম্পানিগুলো পুনরায় বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে পারবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে ভুয়া লেনদেন কার্যক্রম, অবস্থান শনাক্তকরণসহ ডিভাইসের তথ্য সংগ্রহে বাণিজ্যিক পর্যায়ে এপিআই ব্যবহার করা হচ্ছে। আইডিসির আশা, এর মাধ্যমে এপিআইয়ের সংখ্যা এতে ডেভেলপারদের অংশগ্রহণ বাড়ানো সম্ভব হবে।

এপিআই খাতের পাশাপাশি ক্লাউড পরিষেবা গ্রহণে কোম্পানি বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ব্যয়ও বাড়ছে, যা ২০২৭ সাল নাগাদ সামগ্রিকভাবে ২১ হাজার ৯৩০ কোটি (প্রায় ২২ হাজার) ডলারে দাঁড়াবে। আইডিসি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ডওয়াইড সফটওয়্যার অ্যান্ড পাবলিক ক্লাউড সার্ভিস স্পেন্ডিং গাইড সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্বিগুণ ব্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য পাবলিক ক্লাউড সার্ভিস সফটওয়্যার বিনিয়োগের বার্ষিক বৃদ্ধির হার থাকবে ১৪ দশমিক শতাংশ। প্রবৃদ্ধির হার ডিজিটাল রূপান্তর প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ওপর অঞ্চলটির কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন