![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_389304_1.jpg?t=1719737793)
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানের মাধ্যমে শিশুদের গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের তো একদিন চাঁদেও যেতে হবে। আমাদের চাঁদকে জয় করতে হবে। কাজেই আমাদের সন্তানদের শৈশব থেকেই বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা দিতে হবে।’ শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে গতকাল ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খবর বাসস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আজ এটাই চাই যে আমাদের দেশ ২০৪১ সাল নাগাদ “স্মার্ট বাংলাদেশ” হিসেবে গড়ে উঠবে; যেখানে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি হবে। আমাদের আজকের শিশুরা আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেবে। কাজেই সে লক্ষ্য নিয়েই আমাদের শিশুদের শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতি চর্চা, খেলাধুলা—সবদিক থেকেই উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আর তা করার জন্য যা যা করণীয় অবশ্যই আমরা তা করব। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন একটা সুন্দর জীবন পেতে পারে সে জন্য “ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০” প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।’
আজকের শিশু আগামী দিনের নাগরিক ও এ দেশের কর্ণধার হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি হিসেবে শিশুকাল থেকেই তারা ধীরে ধীরে গড়ে উঠবে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে এবং দেশের উন্নয়নে তাদের চিন্তাভাবনা প্রয়োগ করে তারা আরো নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি সেটাই চাই। এ শিশুদের মধ্য দিয়েই কেউ মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী হবে, বড় বড় সংস্থায় চাকরি করবে, বৈজ্ঞানিক হবে। এমনকি একসময় তো আমাদের চাঁদেও যেতে হবে। চাঁদও জয় করতে হবে।’
শিশুরা যেন বিজ্ঞানসম্পন্ন প্রকৃত জ্ঞান পায় সেজন্য সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে গবেষণা ও শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। অ্যারোস্পেস অ্যান্ড এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ও (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়) করেছি। অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার করে দিয়েছি। কাজেই এখন থেকেই আমাদের শিশুদের সেভাবে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮টি ক্যাটাগরিতে ১২৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩’ প্রদান করেন। সেই সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।