২০২৭ সাল

পাবলিক ক্লাউড ও সফটওয়্যার খাতে ব্যয় দাঁড়াবে ২২ হাজার কোটি ডলার

বণিক বার্তা ডেস্ক

ক্লাউডনির্ভর সফটওয়্যার, তথ্য বিশ্লেষণে সক্ষম টুল ও এআই প্লাটফর্মে বড় পরিসরে বিনিয়োগ করছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছবি: মাইন্ড ইনভেন্টরি

ক্লাউড পরিষেবা গ্রহণে কোম্পানি বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ব্যয় বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৭ সাল নাগাদ সামগ্রিকভাবে পাবলিক ক্লাউড সফটওয়্যার খাতে ব্যয় ২১ হাজার ৯৩০ কোটি (প্রায় ২২ হাজার) ডলারে দাঁড়াবে। সম্প্রতি আইডিসি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ডওয়াইড সফটওয়্যার অ্যান্ড পাবলিক ক্লাউড সার্ভিস স্পেন্ডিং গাইড সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্বিগুণ ব্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য পাবলিক ক্লাউড সার্ভিস সফটওয়্যার বিনিয়োগের বার্ষিক বৃদ্ধির হার থাকবে ১৪ দশমিক শতাংশ। প্রবৃদ্ধির হার ডিজিটাল রূপান্তর প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ওপর অঞ্চলটির কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, কার্যক্ষমতা, ব্যয় সংকোচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রসর হওয়ার জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত ক্লাউড পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। অন্যদিকে ডাটা অ্যানালিটিকস বা তথ্য বিশ্লেষণ, সাইবার নিরাপত্তা এআইয়ের ব্যবহার ক্লাউড পরিষেবা গ্রহণের হার বাড়িয়েছে। এর মাধ্যমে শিল্প খাতকে ডিজিটালাইজড করতে সফটওয়্যারের ভূমিকা প্রকাশ পেয়েছে।

আইডিসির তথ্যানুযায়ী, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে ক্লাউডনির্ভর সফটওয়্যার, তথ্য বিশ্লেষণে সক্ষম টুল এআই প্লাটফর্মে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। সার্বিক কার্যক্রমকে আরো গুছিয়ে তোলার পাশাপাশি, ভোক্তা অভিজ্ঞতার উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আইডিসি এশিয়া-প্যাসিফিকের ডাটা অ্যান্ড অ্যানালিটিকস বিভাগের সহযোগী গবেষণা ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মারিও অ্যালেন ক্লেমেন্ট। তিনি বলেন, ‘কৌশলগতভাবে এশিয়া-প্যাসিফিক পাবলিক ক্লাউড সফটওয়্যার খাতে বিনিয়োগ করছে। এর মাধ্যমে একটি বার্তা আমাদের সামনে আসে। সেটি হলো বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা মোকাবেলা এবং ডিজিটালাইজেশনের দিক থেকে শীর্ষে থাকার জন্য উদ্ভাবন প্রয়োজনীয়। যারা প্রযুক্তিকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করবে তারাই ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গঠনে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্লাউডের জনপ্রিয়তা বাড়লেও বেশকিছু কারণে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো দ্বিধায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তথ্যের সুরক্ষা, নেটওয়ার্ক সীমাবদ্ধতা, অভ্যন্তরীণ দক্ষতার অভাব অগ্রিম খরচ।

ক্লাউড পরিষেবা প্রদানকারীরা নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদান, হাইব্রিড বা মাল্টি-ক্লাউড বিকল্প প্রদানসহ সাশ্রয়ীমূল্যে বিভিন্ন মডেল বাজারজাত করছে।

প্রযুক্তিবিশারদদের মতে, নির্দিষ্ট চাহিদা মোকাবেলায় এসব উদ্যোগ অঞ্চলটিতে ক্লাউডের ব্যবহার বাড়াবে। ক্রয়ক্ষমতাসহ অবকাঠামোগত বিভিন্ন দুর্বলতা রয়ে গেলেও বড় পরিসরে অঞ্চল দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। কৌশলগত পরিবর্তনের পেছনে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সরকার সরবরাহকারী চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যা অঞ্চলকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে রাখবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন