ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ থাকলে খবর ছিল —এ কে আব্দুল মোমেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘অনেকের ভাষ্য, আমাদের কোনো অর্জন নেই। আমাদের দেশ থেকে কয়েক লাখ মানুষ চিকিৎসার জন্য, কেনাকাটার জন্য সহজেই ভারত যাচ্ছেন, এটাই তো বড় অর্জন! সম্পর্ক যদি খারাপ থাকত, তাহলে কিন্তু খবর ছিল।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) এ সভা আয়োজন করে।

বাংলাদেশ যোগাযোগের কেন্দ্র হয়ে উঠছে মন্তব্য করে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এ যোগাযোগের ফলে আমাদের অর্জন অনেক। আমি প্রায় শুনি কোনো কোনো লোক বলেন যে ভারতের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক হয়েছে, সোনালি অধ্যায় হয়েছে, আমাদের অর্জনটা কী? আমি মনে করি, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম এ নিয়ে গবেষণা করতে পারে।’

সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘এ সুসম্পর্কের কারণে আমরা সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পেরেছি। বিভিন্ন দেশে এটা নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি হয়। আমরা একটা বুলেটও খরচ করিনি, না করে আমরা আমাদের সীমানা নির্ধারণ করেছি। সেটা হয়েছে আওয়ামী লীগের নীতির কারণে। এছাড়া পানি বণ্টনের ভাগাভাগি আমরা করেছি; আমরা আমাদের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করেছি—এগুলো তো বড় অর্জন!’

সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এশিয়া মহাদেশে কোনো ছায়াযুদ্ধ চাই না। কারণ ছায়াযুদ্ধ হলে উন্নয়নশীল দেশ তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। আর যেখানে যুদ্ধটা হবে, সেটাও ধ্বংস হবে।’

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারতের অর্জনও অনেক। তাদের পূর্ব সীমান্ত নিয়ে চিন্তা করতে হয় না, লাখ লাখ কোটি টাকা খরচ করতে হয় না। সুসম্পর্ক থাকার ফলে তাদের দেশের উন্নয়নটা টেকসই হচ্ছে। আমাদের দেশের উন্নয়নকে টেকসই করে রাখতে গেলে আমাদের অবশ্যই বৈশ্বিক সম্পর্ক বন্ধুপরায়ণ হবে।’

এ কে আব্দুল মোমেন মনে করেন বাংলাদেশের এখন উপদেশ নেয়ার সময় নয়, উপদেশ দেয়ার সময়। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের ভবিষ্যৎ কী ধরনের হওয়া উচিত, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি কী ধরনের হওয়া উচিত, সেসব বিষয়ে আমরা উপদেশ দেব। আমাদের এখন উপদেশ নেয়ার সময় নয়, উপদেশ দেয়ার সময়। যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের বৈদেশিক নীতি পরিবর্তন করে, যদি দুনিয়ার মানুষের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে, তাহলে তারা বিশ্বের নেতা হবে। আর তাদের যদি সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তাহলে তারা কিন্তু বিশ্বের কুলাঙ্গার হবে। তাদের এটা ভাবার সময় এসেছে। আমরা এটা তাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই এবং সেজন্য গবেষণা দরকার।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন