আসন ফাঁকা তবু টিকিট নেই সমাধান চান বিমান এমডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

উড়োজাহাজে আসন ফাঁকা থাকার পরও যাত্রীদের টিকিট না পাওয়ার সমস্যা সমাধান করতে চান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাহিদুল ইসলাম ভূঞা। গতকাল বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জাহিদুল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‌‘টিকেটিংয়ের যে সমস্যা, এটা আমি সম্পূর্ণভাবে সমাধান করতে চাই। যেন এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন না ওঠে। প্রশ্ন উঠলেও আমরা যেন কনফিডেন্টলি রিপ্লাই করতে পারি,৷ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এটা। আমাদের টিকেটিংয়ের জন্য সেভারের (টিকিট ব্যবস্থা) যে মেকানিজমটা আছে, এটার অনেকগুলো ফিচার আছে। এটা আসলে রেডিই আছে, পুরোমাত্রায় চালু করতে হবে। আর মনিটরিংও করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অন টাইম ফ্লাইট পরিচালনার পারফরম্যান্সের উন্নতি করা, আরেকটা হলো আমাদের এক্সপ্যানশনের (সেবার আওতা বাড়ানো) যে প্ল্যানটা আছে, সেখানে আমার মনে হয় একটু পিছিয়ে আছি।’

থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমানের প্রস্তুতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এমডি বলেন, ‘বিমান প্রস্তুত। বিমান এটি ৫২ বছর ধরে করছে। বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ বিমানবন্দরে যারা ন্যাশনাল কেরিয়ার বা তাদের সিস্টার কনসার্ন, তারাই দায়িত্ব পালন করে। সেই হিসেবে আমরা আশাবাদী।’

উড়োজাহাজের বহর সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে এমডি বলেন, ‘২০৩৫ সালের মধ্যে রুট সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিমানের মোট ৪৭টি উড়োজাহাজের প্রয়োজন। বর্তমানে ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ৬টি ফেজ আউট (বাদ) হবে। সেজন্য আরো ৩২টি উড়োজাহাজ পারচেজ অথবা লিজের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। আমাদের ফ্লাইট বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। মালে, কুনমিং, জাকার্তা, সিউল ও সিডনিতে আমরা পর্যায়ক্রমে ফ্লাইট চালু করার প্রত্যাশা করছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন