সংসদে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ

বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সরকার বিপদে আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

( ফাইল ছবি)

দ্রব্যমূল্য নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র কয়েকজন সংসদ সদস্য। তারা বলেছেন, সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে গরিব মানুষের কাছে নিত্যপণ্যকে সহজলভ্য করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। কিন্তু সিন্ডিকেট ভাঙা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেই। আর বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সরকার বিপদের মধ্যে আছে। 

গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল ২০২৪’ পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তারা। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সচিব পদের নাম পরিবর্তন করে ‘পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)’ করতে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বিলটি পাসের প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন স্পিকার।

বিল পাসের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। টিসিবি নামে একটা সংস্থা আছে যারা বাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করে। উপজেলা পর্যায়ে দেখেছি একটা কার্ড দেয়া হয়েছে, যার জন্য পাঁচ-ছয়টা পণ্য কিনতে হবে। অনেক মানুষ এটা নিতে পারে না। যার যেটা প্রয়োজন নেই সেটাও টিসিবির কাছ থেকে নিতে হবে। এটা হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ। যেখানে যা প্রয়োজন নেই সেটাও নিতে হবে, যা প্রয়োজন তা-ও নিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ আইনটি না এনে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কোনো আইন নিয়ে আসতেন, সিন্ডিকেট ভাঙার মতো কোনো আইন নিয়ে আসতেন তাহলে মনে করতাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভালো কাজ করছে। বিভিন্ন সময় তারা বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। যখন তারা যান তখন বাজারটা ঠিক আছে। কিন্তু তারা চলে গেলে আবার যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় চলে যায়। দ্বিগুণ বাড়ে। সিন্ডিকেট ভাঙা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মতো ক্ষমতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আছে বলে আমার জানা নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করব বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন। মানুষের মধ্যে হাহাকার। আওয়ামী লীগের এত উন্নয়ন ও অর্জনের পরও বাজার নিয়ন্ত্রণ না করায় সরকার বিপদের মধ্যে আছে।’  

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথ বলেন, ‘বিলটিতে জনগণের স্বার্থ নেই। এখানে শুধু শব্দের পরিবর্তন। জনগণের স্বার্থ তখনই থাকত যদি ট্যারিফ কমিশনের দায়িত্ব ভোগ্যপণ্য, নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ, বাজারে সহজলভ্যতা, আমদানি ও উৎপাদন সমন্বয় করে মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে দেয়া যেত।’ 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন