শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ কর্মসূচি নিয়ে আইসিডিডিআর,বি

গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি জরুরি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : স্বাস্থ্য-ও-পরিবার-কল্যাণ-মন্ত্রণালয়

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে গ্রামের চিকিৎসাসেবা উন্নত করার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। গতকাল সকালে রাজধানীর মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) আয়োজনে ‘বাংলাদেশে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ কর্মসূচি’ বিষয়ক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সপ্তাহে দুদিন—সোমবার আর মঙ্গলবার ঢাকায় থাকব, আর বাকি কয়দিন সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করব। আমি যদি গ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারি, কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা হয়, তাহলে ঢাকা শহরে রোগীর ভিড় হবে না।’

স্বপ্ন নিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হলে গ্রামের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারকে যদি শক্তিশালী করতে পারি, তাহলে আমাদের সমস্যা থাকবে না। আইসিডিডিআর,বি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তারা প্রশংসনীয়ভাবে গ্রামগঞ্জে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এই টার্গেট নিয়ে আমাদের এগোতে হবে। আইসিডিডিআর,বি আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংক্রান্ত এমন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা দেশের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, গবেষণা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে আইসিডিডিআর,বি গবেষণা, প্রশিক্ষণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার, আইসিডিডিআর,বির চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ইউনিট এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে একত্র হয়ে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’ 

সেমিনারে আইসিডিডিআর,বির মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের ইমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ডা. জেনা দেরাখশানি হামাদানি একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সেখানে বলা হয়—‘প্লে-বেইজড চাইল্ড কেয়ারি প্রোগ্রামস’ শিশুদের জ্ঞানভিত্তিক, ভাষাগত, স্বাস্থ্যগত এবং আচরণগত বিকাশে সহায়তা করে। দেশের চারটি জেলার ২১টি উপজেলার ৬১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকে প্লে-বেইজড চাইল্ড কেয়ারি প্রোগ্রামস বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, যে শিশুরা এ কর্মসূচির মধ্যে ছিল তাদের মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয়েছে। অন্যদিকে যেসব শিশু এ ধরনের কোনো সুবিধা পায়নি, তাদের বিকাশ ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে।

আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন