উপজেলা চেয়ারম্যানদের ৩০ শতাংশ ঋণগ্রহীতা: সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী প্রার্থীদের ৩০ দশমিক ৪৪ শতাংশ ঋণগ্রহীতা বলে উল্লেখ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সংগঠনটির তথ্যমতে, ১৫৭ জন ঋণগ্রহীতার মধ্যে কোটি টাকার অধিক ঋণ নিয়েছেন ৫৭ জন।

গতকাল ‘‌ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪: বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তথ্যের বিশ্লেষণ’ উপস্থাপন এবং নির্বাচন-মূল্যায়ন শীর্ষক প্রেস ক্লাবে সুজন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সুজনের নির্বাহী সদস্য ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর ও সুজনের প্রধান কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকারসহ অনেকে।

অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করেননি প্রার্থীরা। যেখানে ভোটের হার জাতীয় নির্বাচন থেকে বেশি। এটিকে এ সরকারের সফলতা বলব। এখানে নিরপেক্ষতাসহ অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। তবু আমি বলব, এখানে ভিন্নমতের অনেকেই স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী ব্যক্তি হিসেবে আসতে পারতেন। তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে পারতেন।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘উপজেলায় সব ক্ষমতা উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে। একজন সরকারি কর্মকর্তা এক বছর বা তার কিছু অধিক সময় অবস্থান করে যাবে, ফলে তার এখানে কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সে কেন এখানে সবকিছুর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর্যায়ে থাকবেন। উনি অবশ্যই আইনের দৃষ্টকোণ থেকে পরামর্শ দেবেন কিন্তু সিদ্ধান্ত দেয়ার কাজ ওনার না। উপজেলায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকতে এটি হওয়ার কথা না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। এটি নিশ্চিত করতে পারলে তৃণমূল থেকে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে। নির্দলীয়ভাবে ব্যক্তি হিসেবেও তারা নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে পারতেন।’

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জনগণের আস্থার জন্য ভোটারদের যে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে তা সন্তোষজনক নয়। তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ৫০ শতাংশও ভোট পড়েনি।’ 

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী ৪৭০ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করে তা তুলে ধরে সুজন। বিজয়ী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে সুজনের তথ্যমতে, ১০৩ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর। স্নাতক পাস করেছেন ১৬৫ জন, যা বিজয়ী চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৩৫ দশমিক ১১ শতাংশ। ৮৩ জন চেয়ারম্যান এইচএসসি পাস ও ৫১ জন প্রার্থী এসএসসি পাস। চেয়ারম্যানের মধ্যে এসএসসি পাস করেননি ৬৭ জন। 

মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজন জানায়, ১১৪ জন বিজয়ী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২২৩টি মামলা রয়েছে। ৪৭০ জন বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে ১১৪ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে, ১৮২ জনের বিরুদ্ধে অতীতে এবং ৭৫ জনের বিরুদ্ধে অতীতে ও বর্তমানে মামলা আছে। এছাড়া পেনাল কোডের ৩০২ ধারা হলো খুনের শাস্তি। ২৫ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩০২ ধারায় মামলা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন