বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল

৩২০ কোটি টাকা সাশ্রয়ে শেষ হলো প্রকল্প

সুজিত সাহা I চট্টগ্রাম ব্যুরো

ছবি : আজীম অনন

শেষ হলো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল প্রকল্প। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নেয়া প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০ জুন শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের মূল টানেলের কাজ শেষে উদ্বোধন হলেও সার্ভিস এরিয়ার কাজ অসমাপ্ত ছিল। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী ৩০ জুন কাজ শেষের পর আগামী কিছুদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু কর্তৃপক্ষকে বাকি কাজ বুঝিয়ে দেবে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের বাকি কাজ শেষে মোট ব্যয়ের ৩২০ কোটি সাশ্রয় করেছে সেতু বিভাগ। 

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মে মাস পর্যন্ত প্রকল্পটির মোট ভৌত অগ্রগতি ছিল ৯৯ দশমিক ৫০ শতাংশ, আর্থিক অগ্রগতি ছিল ৯৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। মে ও জুনে বাকি দশমিক ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত বাংলাদেশের উপঠিকাদার। বর্তমানে সার্ভিস এরিয়ার শতভাগ কাজ শেষ হওয়ার পাশাপাশি ফায়ার স্টেশন, পুলিশ ফাঁড়ি, ডাম্পিং স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থাপনার কাজ শেষে মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। মূল টানেলের কাজ ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হলেও সার্ভিস এরিয়ার ডিফেক্ট লায়াবিলিটিজ পিরিয়ড শুরু হবে সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে সাইট বুঝিয়ে দেয়ার দিন থেকে।  

সেতু বিভাগের তথ্যে জানা গেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে মূল টানেলটি বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স শাখার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেল উদ্বোধনের পর ২৯ অক্টোবর ভোর ৬টা থেকে টানেল দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে যানবাহন চলাচল করেছে। টানেলের সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সিডিডিএল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে টানেলের উভয় প্রান্তে পুলিশ ক্যাম্প ও ফায়ার স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। পুলিশ ক্যাম্প ও ফায়ার স্টেশনের ভবনগুলো ব্যবহার উপযোগী রাখতে অতিরিক্ত কাজ হিসেবে সীমানাপ্রাচীর, অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ, ইউটিলিটি, ইলেকট্রিক্যাল ও অন্যান্য পূর্ত কাজ সিডিডিএলের সঙ্গে চুক্তি হয় টানেল কর্তৃপক্ষের। এসব কাজও শেষ হয়ে সম্পূর্ণ সার্ভিস এরিয়ার শতভাগ কাজই শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেতু বিভাগের প্রকৌশলীরা।  

এ বিষয়ে টানেলের উপপ্রকল্প পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রহমান তরফদার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ সাশ্রয়ের মাধ্যমে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু টানেলের মূল পূর্তকাজ অর্থাৎ টানেল নির্মাণ ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে শেষ হয়েছে। তাছাড়া টানেল নির্মাণের সময় অপ্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ থেকে বাদ দেয়া, ফার্নিচারসহ বিভিন্ন ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রাধান্য দেয়ায় ৩০০ কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন