আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

গ্রামাঞ্চলে তীব্র লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আগে থেকে বন্ধ ছিল কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শুক্রবার বন্ধ হয়ে যায় দ্বিতীয় ইউনিটও। আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ না আসায় দেশের জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ কমে গেছে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট। এতে সারা দেশে গড়ে লোডশেডিং হচ্ছে ৫-৬ ঘণ্টা পর্যন্ত। তবে গ্রামাঞ্চলে চলছে তীব্র লোডশেডিং।  

আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদন সক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট। তবে সেখান থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। ভারতের কেন্দ্রটি থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রবেশ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে। হঠাৎ করে সেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আদানি পাওয়ার সূত্রে অবশ্য জানা গেছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটি সারাতে কাজ চলছে। দু-একদিনের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। 

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, গতকাল ১১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল দিনে। সন্ধ্যার পর তা বেড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের পূর্বাভাস দেয়া হয়। এর আগের দিন ১১ হাজার ৭৩৭ মেগাওয়াট উৎপাদন করা হয়। সন্ধ্যার পর অবশ্য তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াটে। 

উৎপাদন শুরুর পর জুনেই ঝড়ের কারণে রহনপুরে সঞ্চালন লাইন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েকদিন বন্ধ ছিল। এরপর ত্রুটি ঠিকঠাক করলে আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। 

রাষ্ট্রীয় সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) জানায়, ঈদের ছুটির সময় বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় রক্ষণাবেক্ষণে যায় আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এ ইউনিটটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিটও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৫ জুন থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়ায় অনেক স্থানে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন