বোরোর উৎপাদন বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

দেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোরো উৎপাদন গত অর্থবছরের তুলনায় ৮ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া চলতি বছর বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ২২ লাখ টন। উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ টন। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন বেড়েছে দশমিক ৯০ শতাংশ। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ১৫ লাখ টন। উৎপাদন হয় ২ কোটি ৭ লাখ টন। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আট লাখ টন (৩ দশমিক ৭২ শতাংশ) কম উৎপাদন হয়। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে বোরোর উৎপাদন বেড়েছে ১৭ লাখ টনের বেশি, যা শতকরা হিসাবে ৮ দশমিক ২১ শতাংশ। 

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকার বিশেষ গুরুত্ব দেয়ায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে তারা বলছেন, কৃষি মন্ত্রণালয় বোরো ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গত মৌসুমে চার ক্যাটাগরিতে প্রায় ২১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছে। আর এ প্রণোদনার আওতায় দেশের ২৭ লাখ কৃষক বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছেন। যদিও জানুয়ারিতে ঘন কুয়াশার কারণে উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় বোরো ধানের বীজতলায় সমস্যা হয়েছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ৪৯ লাখ ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রণোদনার পাশাপাশি আরেকটি কারণে উৎপাদন বেড়েছে। এবার বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষকের মধ্যে বোরো আবাদে আগ্রহ ছিল বেশি। যদিও সেচ, সার, বীজ, কীটনাশকসহ সব কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে।

এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪৯ লাখ ৫১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়। উৎপাদন হয় ২০৯ লাখ টন।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে আমনের উৎপাদনও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টন বেশি ছিল। গত মৌসুমে ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ টন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন