চট্টগ্রামে পুরনো ৩৫০ বাড়ি

আবাসন নির্মাণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বরাদ্দ দিচ্ছে গণপূর্ত

দেবব্রত রায়, চট্টগ্রাম ব্যুরো

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামে কিছু বাড়ি ফেলে রেখে পাকিস্তানে চলে যায় বিহারিরা। এসব বাড়ি সম্পত্তির মালিকানা গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ৩৫০টি পুরনো বাড়ি শনাক্ত করা হয়েছে। এসব বাড়ি ভেঙে আবাসন নির্মাণ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। যা ব্যবহার করা হবে সরকারি অফিস কর্মকর্তাদের আবাসন হিসেবে। এছাড়া পুরনো এসব বাড়ির কিছু বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭০ জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কিংবা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে।

চট্টগ্রামের গণপূর্ত রক্ষাণাবেক্ষণ বিভাগের তথ্যমতে, এরই মধ্যে ৩৫০টি বাড়ি শনাক্ত করা হয়েছে। বাড়িগুলোর মধ্যে ১৬০টি সরকারি কাজের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। বাকি ১৯০টি বাড়ি জমি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি পরিত্যক্ত বা পুরনো বাড়ি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কিংবা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাকি ১০০টি বাড়ি সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বর্তমানে অন্তত ৫১টি জমিতে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ চলমান। কিছু ভবন হস্তান্তরও করা হয়েছে।

পরিত্যক্ত বাড়ি নির্ধারণ করার বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা এখানে বসবাস করত (বিহারি বা পাঞ্জাবি), দেশ স্বাধীনের পর তারা বাড়িগুলো ছেড়ে চলে গেছে। সম্পত্তি হস্তান্তর আইন অনুযায়ী সেসব বাড়ির মালিক রাষ্ট্র। ১৯৮৬-৮৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকার বাড়িগুলোর মালিকানা গ্রহণ করে। মূলত ১৯৭১ সালের প্রেসিডেন্ট অর্ডার ১৬-এর আইন অনুযায়ী বাড়িগুলো অধিগ্রহণ করে সরকার। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সম্পূরক আইন অনুযায়ী বাড়িগুলো সরকার কীভাবে ব্যবহার করবে, সেটা নির্ধারণ করা হয়। বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য একটি কমিটি করা হয়।

প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (রক্ষণাবেক্ষণ) মো. মইনুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে ৩৫০টির মতো পুরনো বাড়ি আমরা শনাক্ত করেছি। এর মধ্যে কিছু বাড়ি সংরক্ষিত, কিছু বাড়ি প্রতীকী মূল্যে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাকি বাড়ির মধ্যে কিছু সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য নির্মাণকাজ চলছে। তবে এসব বাড়ি সরকারি আবাসন নির্মাণকাজে ব্যবহার হবে। আর কিছু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতীকী মূল্যে বিক্রি করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন