![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_390243_1.jpg?t=1720434144)
সরকারি
চাকরিতে কোটা বাতিলের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার বিভিন্ন
হল নেতাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের
শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম। আজ শুক্রবার (৫ জুলাই)
দুপুরে সেলফোনে তিনি বণিক বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনে আমাদের সহযোদ্ধা সারজিসকে
একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা হল থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা চালালে একুশে
হলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব হলের শিক্ষার্থী একুশে হলের সামনে অবস্থান নেয়।
এরপর প্রভোস্ট স্যার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন যে সারজিস তার হলেই থাকবেন।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য হল থেকে যেসব শিক্ষার্থী একুশে
হলের সামনে গিয়েছিল তাদেরকে তাদের হলের পদপ্রত্যাশীরা হলে প্রবেশে বাঁধা দেয় এবং মোবাইল
চেকসহ নানা ধরনের হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করে। গতকাল শাহবাগে আন্দোলনে আসা শিক্ষার্থীদেরও
নানাভাবে বাঁধা প্রদান করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
একই বিভাগের হাসিব আল ইসলামও অভিযোগ করে বলেন, আমরা কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন সময় প্রচারণা
চালাতে গিয়ে হলে পদপ্রত্যাশীদের দ্বারা হয়রানির শিকার হই।
এদিকে আন্দোলনকারীদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা। তারা জানান, সারজিস আলমকে হল থেকে বের করে দেয়ার তথ্যটি সঠিক নয়। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কাউকে আমরা হল ছাড়তে বাধ্য করিনি, করতে পারিও না। কে হলে থাকবে, আর কে থাকবে না তা হল প্রশাসন ঠিক করে থাকেন। হল ত্যাগে কাউকে বাধ্য করতে ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্দেশনাও দেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে সরকার। কিন্তু গত ৫ জুন হাইকোর্টের রায়ে সে পদ্ধতি পুনর্বহাল হয়। এ রায়ের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আপিল শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। কোটা বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দিনভর রাজধানীর শাহবাগ মোড়সহ সারা দেশের সড়ক-মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। আন্দোলনকারীরা বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।