‘বাজপাখি’ মার্টিনেজে ভর করে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : এপি

গোলবারের সামনে গ্লাভস হাতে নিজের ক্ষিপ্রতা এবং অসামান্য নৈপুণ্যের কারণে বাংলাদেশের অধিকাংশ আর্জেন্টিনা সমর্থকের কাছেই বাজপাখি হিসেবে পরিচিত এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সেই বাজপাখিই হলেন আর্জেন্টিনার ত্রাতা। ইকুয়েডরের সঙ্গে কোপার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা নির্ধারিত নব্বই মিনিটে  ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়। ফলে কোপা আমেরিকার নিয়ম মেনে ম্যাচ চলে যায় সরাসরি পেনাল্টি শ্যুটআউটে।

লিওনেল মেসি এসেছিলেন দলের হয়ে প্রথম পেনাল্টি নিতে। গোলরক্ষক আলেকজান্ডার ডমিঙ্গেজকে ভুল পথে পাঠিয়েছিলেন বটে। কিন্তু তার প্যানেককা শট বারপোস্টে লেগে চলে যায় ওপরে। কিন্তু পেনাল্টিতে আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে আরো একবার নায়ক বনে গেলেন এমি মার্টিনেজ। ইকুয়েডরকে ৪-২ ব্যবধানে পেনাল্টিতে হারিয়ে সেমিফাইনালে গেল আর্জেন্টিনা। এ ম্যাচে শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল আর্জেন্টিনার।  ইনজুরির কারণে শঙ্কা থাকলেও আর্জেন্টিনার একাদশে ফেরেন মেসি। দলে জায়গা হারান ডি মারিয়া। তবে ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। বল দখলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ বেশি তৈরি করে ইকুয়েডরই। তাদের একজন ভালো ফিনিশার থাকলে অন্তত ২ গোলে পিছিয়ে থাকতো আর্জেন্টিনা।


ম্যাচের ছয় মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে যান কাইসেদো। ডি-বক্সের সামান্য ভেতর থেকে নেওয়া দুর্বল শট সহজেই তালুবন্দি করেন এমি মার্টিনেজ। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় আবারো সুযোগ পায় ইকুয়েডর। এবার দারুণ আক্রমণ করে ডান দিক দিয়ে তারা। কিন্তু বল নিয়ে ভেতরে ঢুকে একজন ডিফেন্ডারকে কাটালেও গোলকিপার মার্টিনেজকে পরাস্ত করতে পারেননি পায়েজ।

১৭ মিনিতে এনার ভ্যালেন্সিয়ার ক্রস থেকে প্রেসিয়েদোর দুর্বল শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। মলিনার দারুণ ক্রস থেকে খালি জায়গায় হেড করার সুযোগ পেয়েও বল বাইরে মারেন এনজো ফার্নান্দেজ।

৩৩ মিনিটে মেসির দারুণ ডিফেন্স চেরা পাস থেকে এনজো ফার্নান্দেজ ডি-বক্সের ভেতর বল টেনে নিয়ে গেলেও তার শট ব্লক করে দেয় ইকুয়েডরের ডিফেন্ডাররা। কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। সেই কর্নার থেকেই অবশেষে গোল পায় আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ৫৪ মিনিটে এমি মার্টিনেজের কিক থেকে বল ডি বক্সের ভেতর বল পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন লাওতারো। ম্যাচে ৫৯ মিনিটে কর্নার থেকে ডি বিক্সের ভেতর হেড দিতে গিয়ে রড্রিগো ডি পলের হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।

স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকলেও স্পট কিক থেকে বল গোলবারে মারেন তিনি। সমতায় ফিরতে ব্যর্থ হলো ইকুয়েডর। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে প্রথম গোলমুখে শট নেন লিওনেল মেসিম তার ডান পায়ের শট সোজা গোলরক্ষক বরাবর গেলে সেটি তিনি ভালোভাবেই রুখে দেন। ম্যাচে যখন আর্জেন্টিনা জয়ের সুবাস পাচ্ছে তখনই ম্যাচের ৯২ মিনিটে ইকুয়েডরের কেভিন রড্রিগেজ গোল করে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান। কোপায় কোনো অতিরিক্ত সময়ের নিয়ম না থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।





এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন