কুড়িগ্রামে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে
পাঁচ উপজেলার বানভাসী প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে
বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খবারের সংকট। চারণভূমি তলিয়ে থাকায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে
পড়েছেন দুর্গতরা।
আজ শনিবার (৬ জুলাই) সকালে স্থানীয়
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার
ও হাতিয়া পয়েন্টে ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে প্রায় ৪০ কিলোমিটার
দৈর্ঘ্যের ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার চর, দ্বীপচরসহ নিম্নাঞ্চল।
চরাঞ্চলের অনেক বাসিন্দা ঘর-বাড়ি ছেড়ে
উঁচু এলাকায় ও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করলেও অনেকেই রয়ে গেছেন বাড়িতে।
নিম্নাঞ্চলের কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে
থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্ধ রয়েছে শতাধিক প্রাথমিক ও মাধ্যামিক বিদ্যালয়।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের
ঘনেশেমপুর এলাকার হবিবর রহমান বলেন, ‘গত চারদিন ধরে পানিতে অবস্থান করছি। গরু-ছাগল
উঁচু জায়গায় রেখে এসে বাড়িতে থাকার জায়গা উঁচু করে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্ট করে আছি।
নলকূপ তলিয়ে আছে। বাধ্য হয়ে সেই নলকূপের পানি খাচ্ছি। এখন পর্যন্ত সরকারি কোন সহায়তা
পাইনি।’
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জের
বালাডোবার চরের শেফালী বলেন, ‘ঘরের চাল পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। এ কারণে গবাদি পশু,
ছেলে-মেয়েসহ মোল্লার হাট এলাকায় উঁচু জায়গায় অবস্থান করছি।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী
প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আরো দুইদিন পর্যন্ত বন্যার পুর্বাভাস রয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ
জানান, বন্যা কবলিত জন্য ২৯১ টন চাল, ২০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও সাড়ে ১৫ হাজার শুকনো খাবারের
প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া যেখানে যা প্রয়োজন
হবে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।