সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল এবং ওয়েবসাইটে তা প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ এ রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের সম্পত্তির বিবরণীর নিদের্শনা চেয়ে পিআইএল (পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন) করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। পরে আদালত রিট করার অনুমোদন দেন।’

আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদান ও প্রকাশের জন্য রিটটি দায়ের করে নির্দেশনা চেয়েছি। কারণ হলো সম্প্রতি আমরা দেখছি যে সরকারের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ থাকার তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা কীভাবে এত বিপুল সম্পদ অর্জন করেন, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছি।’

এ আইনজীবী আরো বলেন, ‘সরকারের একটি কন্ডাক্ট রুল আছে। এ নীতি অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তা সরকারের অনুমতি ছাড়া বিনিয়োগ, ধার কিংবা ভবন পর্যন্ত নির্মাণ করতে পারেন না। এছাড়া চাকরিতে নিয়োগের শুরুতে তাদের সম্পদ বিবরণীর পাশাপাশি প্রতিবছর সম্পদের হিসাব জমা দিতে হয়।’

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ১১, ১২ ও ১৩ বিধিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আইনের এ নির্দেশনা মানছেন না বেশির ভাগ সরকারি চাকরিজীবী।

সম্প্রতি সরকারের উচ্চপদস্থ একাধিক কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মূলধারার গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এর মধ্যে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের নামও রয়েছে। এ দুই কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। এরই মধ্যে দুজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন আদালত। 

কোরবানির জন্য ইফাত নামের এক তরুণের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে মতিউর রহমানকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। ইফাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, তার বাবার নাম মতিউর রহমান। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন