হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

দ্বিতীয় দফায় গড়াল ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

বণিক বার্তা ডেস্ক

নির্বাচনে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন ছবি: বিবিসি

গত মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর ইরানে নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার প্রকাশিত প্রাথমিক ফলে দেখা গেছে, সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে।

রাজধানী তেহরানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনে স্থাপিত নির্বাচনী সদর দপ্তরের মুখপাত্র মোহসেন ইসলামি ভোট গণনার সর্বশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। নির্বাচনে কোনো প্রার্থী ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে আগামী জুলাই ফিরতি লড়াই হবে বলে জানিয়েছে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী মাত্র কোটি ৪৫ লাখ ভোট গণনা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন কোটি ৪০ লাখ ভোট। তিনিই সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে আছেন জালিলি। তিনি পেয়েছেন ৯৫ লাখ ভোট। অন্য দুই প্রার্থী অনেক পিছিয়ে। তাদের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসা সম্ভব নয়।

মোহাম্মাদ বাকের কলিবফ ৩৪ লাখ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। আর চতুর্থ স্থানে আছেন মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি। তিনি পেয়েছেন ২০ লাখ ভোট।

শুরুর দিকে এগিয়ে থাকলেও পরে পিছিয়ে পড়েন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ, জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা কট্টরপন্থী প্রার্থী সাইদ জালিলি। এগিয়ে যান পশ্চিমাদের সঙ্গে পুনরায় সংলাপ শুরু করতে চাওয়া সংস্কারপন্থী প্রার্থী, আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান।

ইরানি বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, দফা নির্বাচনে দেশের ভেতরে বাইরে কোটি ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৩২১ জন ভোট দেয়ার যোগ্য ছিলেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং তিনবার সময় বাড়িয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।

এবারের নির্বাচনে ইরানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের লক্ষ্য ছিল ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। কিন্তু প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, মাত্র ৪০-৪২ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন। তবে চূড়ান্ত ফলাফল এখনো প্রকাশ হয়নি। যদি ৪০-৪২ শতাংশের মধ্যে হার থাকে তাহলে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের ইতিহাসে তা হতে যাচ্ছে সর্বনিম্ন।

রয়টার্স বলছে, যদিও নির্বাচন ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না, তবে এর ফলাফল ১৯৮৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ইরানের ৮৫ বছর বয়সী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উত্তরাধিকার নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে।

ইরানের নির্ধারিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৫ সালের জুনে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৯ মে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তার সাত সফরসঙ্গীসহ এক মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার কারণে সংবিধানের ১৩১ এবং ১৩২ নম্বর ধারা অনুযায়ী আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। খবর আল জাজিরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন