ফ্রান্সের নির্বাচন: চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : এপি (ফাইল ছবি)

ফ্রান্সে চলমান আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। ফ্রান্সের প্রথম দফা নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৫৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। ১৯৮৬ সালের পর দেশটিতে এ ভোটার উপস্থিতি সর্বোচ্চ। আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। খবর রয়টার্স। 

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সম্প্রতি ইউরোপীয় নির্বাচনে মারিন লে পেনের ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) দলের কাছে তার মধ্যপন্থী জোট পরাজিত হওয়ার পর আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। চারটি মূল ব্লক এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ধারণা করা হচ্ছে, যদি পূর্বাভাস সঠিক হয়ে ফ্রান্সে ডানপন্থী সরকার গঠিত হয় তাহলে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা করবে। ফ্রান্সে প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ ভোটার আছেন। এর মধ্যে বিদেশে বসবাসকারী নাগরিকেরা আগেই ভোট দিয়েছেন।

ইপসোস ফ্রান্সের গবেষণা পরিচালক মাথে উ গালার্ড বলেছেন, ১৯৮৬ সালের পর ফ্রান্সের প্রথম দফা নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৫৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০২২ সালে একই সময়ে যা ছিল ৩৯ দশমিক চার শতাংশ। 

ডানপন্থী নেতা মারিন লে পেন বলেছেন, আমরা একটি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে যাচ্ছি। ২৮ বছর বয়সী জর্ডান বার্ডেলা ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হবেন। লে পেন তার দলকে বর্ণবাদ এবং ইহুদি বিরোধিতার মতো পরিচিতি থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। ভোটারদের মধ্যে মাখোঁর প্রতি ক্ষোভ, জীবনের উচ্চ ব্যয় এবং অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগের মতো ইস্যুগুলোকে প্রচারণায় কাজে লাগিয়েছে লে পেনের দল।

এদিকে, সিএনএন জানায়, দুই সপ্তাহের মধ্যে ফ্রান্সে একটি কট্টর-বাম বা কট্টর-ডানপন্থী সরকার গঠিত হতে পারে অথবা কোনো ব্লক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে। এতে দেশে ও দেশের বাইরে নানা সমস্যায় পড়বে ফ্রান্স।

আগাম এ নির্বাচন নিয়ে ক্ষুব্ধ মাখোঁর মিত্ররা। কারণ স্বাভাবিক নিয়মে ২০২৭ সালের আগে পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থীদের অগ্রগতিতে শঙ্কিত হয়ে নিজেদের কর্তৃত্ব রক্ষা করতেই আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন মাখোঁ।

আগের নির্বাচনগুলোয় ফ্রান্সের ভোটাররা কট্টর ডানপন্থী দলগুলোকে সামনে আসতে দেয়নি। কিন্তু এবার জ্বালানির দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে ডানপন্থীদের দিকে ঝুঁকেছে দেশটির সাধারণ মানুষ। কারণ ডানপন্থীরা জ্বালানির ওপর ভ্যাট কমাতে এবং ৩০ বছরের কম বয়সীদের আয়কর থেকে মুক্তির আশ্বাস দিয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন