লোকসভা নির্বাচন

প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর ধ্যান ভেঙেছেন মোদি, বুথফেরত জরিপে এগিয়ে বিজেপি

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : রয়টার্স

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল ছিল এ নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষ ধাপের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনের ফল জানা যাবে ৪ জুন। তবে এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন বুথফেরত জরিপ। এতে দেখা যাচ্ছে, বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের চেয়ে বেশি আসন পেতে যাচ্ছে মোদির এনডিএ জোট। জরিপ প্রকাশের পরই  এরই মধ্যে নির্বাচনে জয় পাওয়ার দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এমন দাবির পর জয়ের পাল্টা দাবি জানিয়েছে তার প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও। খবর এনডিটিভি।

এক্সিট পোল বা বুথফেরত জরিপ বলছে, ২০১৪ ও ২০১৯-এর মতোই অনেকটাই পিছনে বিরোধী জোট। রিপাবলিক-মাট্রিজের জরিপে এগিয়ে এনডিএ।জরিপ অনুযায়ী, ৩৫৩-৩৬৩টি আসন পেতে পারে এনডিএ। ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ১১৮-১৩৩ আসন। রিপাবলিক পি মার্কের জরিপে দেখা গেছে, এনডিএ পেতে পারে ৩৫৯টি আসন। ইন্ডিয়া পেতে পারে ১৫৪ আসন। জন কী বাতের জরিপে এনডিএ পেতে পারে ৩৬৩-৩৯২ আসন। ইন্ডিয়া পেতে পারে ১৪১-১৬১ আসন।

আরো বেশ কিছু বুথফেরত জরিপ প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মোদির এনডিএ জোট ইন্ডিয়ার থেকে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। যদিও আসল ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক দিন।

জরিপের ফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয় পাওয়ার দাবি করে বেশ কয়েকটি পোস্ট করেন মোদি। এতে তিনি লিখেছেন, “আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি ভারতের জনগণ এনডিএ সরকারকে পুননির্বাচিত করতে ভোট দিয়েছে।” তবে মোদি তার জয়ের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি। মোদি ভোটার এবং দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন— যারা গরমকে উপেক্ষা করে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

এছাড়া এক্সে দেয়া পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি বিরোধী দলগুলোর সমালোচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “তারা ভোটারদের পক্ষে আনতে পারেনি। তারা বর্ণবাদী, সাম্প্রদায়িক, দুর্নীতিগ্রস্ত।”

প্রধান বিরোধী দল রাহুল গান্ধীর ভারতীয় কংগ্রেসও একই দাবি করেছে। দলটি বলেছে, তারা এবার ২৯৫টিরও বেশি আসনে জয় পাবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে।

এদিকে দুদিন প্রায় ৪৫ ঘণ্টার ধ্যান ভেঙেছেন মোদি। শনিবার দুপুরে ধ্যান ভাঙেন তিনি। তারপর আকাশি কুর্তা, সাদা ধুতি পরে বেরিয়ে এলেন বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল থেকে। এর আগে শেষ ধাপের নির্বাচনী প্রচার শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যানে বসেছিলেন মোদি। শনিবার দুপুর পর্যন্ত চলে ধ্যান। এই দুদিন মৌনব্রত ছিল মোদির। শুধুই তরল জাতীয় খাবার খেয়েছেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর তিনি গিয়েছিলেন কেদারনাথে। ২০১৪ সালের ভোটের পর গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রতাপগড়ে।




এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন