আয়ুর্বেদিক
ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের বিকাশ,
উন্নয়ন এবং রফতানি সম্ভাবনাকে
কাজে লাগাতে সরকারের নীতি সহায়তা চান
এই খাতের ব্যবসায়ীরা। দেশে আয়ুর্বেদিক এবং
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরির উপকরণ
ও কাঁচামাল সহজলভ্য করা, বিলুপ্ত প্রায়
ঔষধী গাছ সংরক্ষণ এবং
ভেষজ বনায়ন গড়ে তোলা, হার্বাল
পণ্যের ব্র্যান্ডিং, পণ্য উন্নয়ন, মান
নিয়ন্ত্রণসহ প্রযুক্তির
প্রয়োগ ও গবেষণায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার
(২ জুলাই) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে
আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ
শিল্প বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই আহ্বান
জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
সভায়
সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির
চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ হার্বাল
প্রোডাক্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আলমগীর মতি।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে
দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই’র পরিচারক এবং
ইউনিভার্সেল টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়্যারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী।
সভায়
প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন,
আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক খাতের
বাণিজ্যিক এবং রফতানি সম্ভাবনাকে
কাজে লাগাতে এফবিসিসিআই নীতিগত সহায়তা প্রদান করবে। খাতের প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিতকরণ এবং তার সমাধানে
নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করার আশ্বাস দেন
তিনি। এ জন্য, আয়ুর্বেদিক
ও হোমিওপ্যাথিক শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছে যৌক্তিক প্রস্তাবনা
আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এ সময় এফবিসিসিআই’র
সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিন
হেলালী বলেন, হার্বাল ওষুধ, খাদ্যদ্রব্য এবং কসমেটিকস শিল্পে
শতভাগ স্থানীয় ভ্যালু অ্যাডিশনের সুযোগ রয়েছে। সারা বিশ্বেই হার্বাল এবং হালাল পণ্যের
চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
এই বাজার ধরতে হলে উদ্যোক্তাদের
প্রযুক্তি ও গবেষণায় বিনিয়োগে
মনযোগী হতে হবে। এ
সময়, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিল্পের
টেকসই উন্নয়নে সকল অংশীজনকে সঙ্গে
নিয়ে দ্রুত একটি কৌশলপত্র তৈরির
উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন আমিন হেলালী।
আয়ুর্বেদিক
ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের মেডিক্যাল
রেকর্ড এবং ডাটা কালেকশনের
ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন কমিটির ডিরেক্টর
ইন-চার্জ প্রীতি চক্রবর্তী। হার্বাল পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণেও এই
খাতের উদ্যোক্তাদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায়
আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক, কমিটির
কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।