ইউরোপীয় ইউনিয়নে অভিবাসী গ্রহণে সবচেয়ে পিছিয়ে স্পেন

বণিক বার্তা অনলাইন

স্পেন উপকূলে উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশী। ছবি: রয়টার্স/ফাইল

স্প্যানিশ কমিশন ফর রিফিউজি অ্যাসিসট্যান্সের (সিইএআর) নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে অভিবাসীদের আবেদন গ্রহণের সর্বনিম্ন হার ছিল স্পেনে। খবর আনাদোলু।

দেশটির শরণার্থী অধিকার গোষ্ঠীটি জানায়, গত বছর আশ্রয়ের আবেদনের মাত্র ১২ শতাংশ অনুমোদন করেছে স্পেন, যা ইইউর গড় ৪২ শতাংশের চেয়ে অনেক কম।

সোমবার প্রকাশিত বার্ষিক এ প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইইউ দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক আবেদন পেয়েছিল স্পেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ২২০টি। শীর্ষ দুই দেশ হলো জার্মানি ও ফ্রান্স, আবেদন পেয়েছিল যথাক্রমে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৫১০ ও ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮০টি।

স্পেনে কম অনুমোদনের হারের অন্যতম কারণ হলো, দেশটির গ্রহণ করা ৪৭ শতাংশ আবেদন ছিল মানবিক কারণে অস্থায়ী নিরাপত্তা সংক্রান্ত। যার প্রায় পুরোটাই ভেনিজুয়েলানদের দেয়া হয়েছিল। এ সময় প্রতি চারজন আবেদনকারীর মধ্যে একজনকে আশ্রয়ের অনুমোদন নেয়া হয়েছিল।

সিইএআর বিষয়টির নিন্দা করে বলেছে, স্পেন পদ্ধতিগতভাবে কলম্বিয়া, পেরু ও সেনেগালের মতো দেশগুলোর বেশিরভাগ আশ্রয়ের দাবি অগ্রাহ্য করে চলেছে।

স্পেনের আরেকটি সমস্যা হলো, ক্রমবর্ধমান ব্যাকলগ। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ দেশটিতে ১ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি আবেদন ঝুলে ছিল, যা ২০২২ সালের চেয়ে ৫৬ শতাংশ বেশি।

গত বছর ছোট নৌকায় স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে আসা অনিয়মিত অভিবাসী নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। ওই প্রবণতা চলতি বছরের আরো জোরদার হয়েছে।

২০২২ সালের তুলনায় পরিস্থিতির উন্নতির জন্য প্রতিবেদনে স্প্যানিশ ও ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের প্রশাসনের প্রশংসা করেছে সিইএআর। তবে অভিবাসন সমস্যা নিয়ে আরো স্থিতিশীল কাঠামো বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থা।

সংস্থাটি অভিবাসন ও আশ্রয় সংক্রান্ত ইইউ চুক্তির ‘বিধ্বংসী পরিণতি’ সম্পর্কেও সতর্ক করেছে। সিইএআর বলছে, শরণার্থীদের মর্যাদার বিষয়ে যথেষ্ট নিরাপদ ও আইনি ব্যবস্থা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিবাসন প্রত্যাশীদের আগমনরোধ ও তাদের নির্বাসনকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন কৌশল প্রণয়ন হচ্ছে। এছাড়া ইউরোপীয় নির্বাচনের ফলাফলকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছে সংস্থাটি। কারণ সেখানে এমন দলগুলো শক্তিশালী হয়েছে, যারা শরণার্থীদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের অধিকারকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন