সংসদে প্রধানমন্ত্রী

তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনি জটিলতা আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

গ্রেনেড হামলা, মানিলণ্ডারিংসহ দুর্নীতির একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে (তারেক জিয়া) প্রাপ্য সাজার মুখোমুখি করতে সকল প্রকার প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব জটিলতা আইনি প্রক্রিয়াতেই নিরসন করে এ অপরাধীকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও তার প্রাপ্য সাজার মুখোমুখি করার বিষয়ে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আশা করা যায়, এ প্রক্রিয়ায় ফলাফল আমরা অচিরেই দেখতে পাব।

আজ বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত বিদেশে পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শান্তি কার্যকর করার লক্ষ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ৫ জন পলাতক আসামী লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আব্দুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, মেজর (অব.) নূর চৌধুরী, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন খান ও লে. কর্নেল (অব.) রাশেদ চৌধুরী এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পলাতক আসামি মাওলানা মো. তাজউদ্দিন, হারিছ চৌধুরী ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবুর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা আছে। পলাতক আসামিরা যে দেশে অবস্থান করছে, সে দেশের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত আছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তাদের দেশে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রী ও সিনিয়র কর্মকর্তা পর্যায়ে সার্বক্ষণিক কূটনৈতিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এছাড়া দেশগুলোর সঙ্গে সরকারের যেকোনো পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে দেয়ার ইস্যুটি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করা হচ্ছে। যে সকল পলাতক খুনিদের অবস্থান সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তাদের অবস্থান খুঁজে বের করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলো নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন