অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরির অভিযোগে দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ গ্রেফতার ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংগৃহীত

মডেল হান্টিং শীর্ষক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে তরুণীদের জিম্মি করে অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরির ঘটনায় মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার (২৬ জুন) সিআইডি সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। 

সিআইডি জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকা, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন – চক্রের মূলহোতা মেডিকেল শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান ও তার প্রধান সহযোগী খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন, জাহিদ হাসান কাঁকন, তানভীর আহমেদ ওরফে দীপ্ত, সৈয়দ হাসিবুর রহমান, শাদাত আল মুইজ, সুস্মিতা আক্তার ওরফে পপি এবং নায়না ইসলাম।

অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠতি বয়সী তরুণীদের টার্গেট করে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি, ট্যালেন্ট হান্টিং ও মডেলিংয়ের নামে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফাঁদে ফেলত চক্রটি। এরপর ব্যক্তিগত ছবি হাতিয়ে নিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করে অনলাইনে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হতো। দীর্ঘদিন ধরে অতি কৌশলে শত শত তরুণীকে ফাঁদে ফেলে আধুনিক যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার।

মেহেদী হাসান এবং তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন মিলে চক্রটি গড়ে তোলেন বলে জানান সিআইডি প্রধান। বলেন, তারা দুজনেই মেডিকেল শিক্ষার্থী। তারা চিকিৎসাবিদ্যার আড়ালে অল্প বয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি ও টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ম্যাসেঞ্জারে নানা অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করত। 

চক্রটির একশ কোটি টাকা আয়ের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, গত ৭ বছরে তারা প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে। এ টাকা দিয়ে তারা যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জমি কিনেছে। নির্মাণ করেছে আলিশান বাড়ি। তাদের আত্মীয়স্বজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও বিপুল অর্থ জমিয়ে রাখার তথ্য মিলেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন