৯ম পে স্কেল বাস্তবায়নসহ সরকারি কর্মচারীদের সাত দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি— বণিক বার্তা।

৯ম পে স্কেলসহ অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধির সাত দফা দাবি পেশ করেছে বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারী সমিতি ১৭-২০ গ্রেড কেন্দ্রীয় কমিটি। শুক্রবার (১৭ মে) সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সস্মেলনে এই দাবি পেশ করা হয়। দাবিতে বাড়িভাড়া, রেশনিং পদ্ধতি চালু, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা, যাতায়াত ভাতা ও টিফিন ভাতা দেয়ার কথাও বলা হয়। সমিতির উপদেষ্টা মো. হেলাল উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় শিগগিরই বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়নেরও দাবি জানানো হয়।

সরকারি কর্মচারী সমিতির সাত দফা দাবিতে বলা হয়, বৈষম্যহীন ৯ম জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করতে হবে এবং কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ১৯৭৩ সনের ১০ (দশ) ধাপে ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বনিম্ন বেতন ২৫ হাজার টাকা নির্ধারকরতে হবেআউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করতে হবে, বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মচারীদের হয়রানিমূলক বদলি আদেশ, অত্যাচার নির্যাতনমূলক ও মিথ্যা মামলা বন্ধপ্রত্যাহার করতে হবে, প্রধানমন্ত্রীর ২০১৫ সালের ঘোষণা অনুযায়ী আয়কর বিভাগসহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের ব্লক পোস্ট বাতিল করতে হবে। সচিবালয়ের মতো সকল দফতর-অধিদফতরে ১৭-২০ গ্রেডের কর্মচারিদের সিলেকশন গ্রেড দিতে হবে, অভিন্ন নিয়োগ বিধি চালু করতে হবে। কর্মরত কর্মচারীদের প্রতি ৫ বছর পরপর উচ্চতর বেতন গ্রেড দিতে হবে।

দাবিতে আরো বলা হয়, আগের মতো শতভাগ পেনশন উত্তোলনের সুযোগসহ গ্র্যাচুয়িটির হার ১টাকার স্থলে ৫০০ টাকা নির্ধার করতে হবে, ১৯৭৩ সালের বঙ্গবন্ধুর কর্তৃক ঘোষিত বেতন স্কেল এক থেকে দশ গ্রেড পূর্ণ নির্ধার করতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে পোষ্য কোটা চালু করতে হব, রেশন ব্যবস্থা করতে হবে। পোশাকের টাকা বেতনের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। বাড়ি ভাড়া ৮০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা তিন হাজার টাকা, শিক্ষা ভাতা দুই হাজার টাকা, যাতায়াত ভাড়া দুই হাজার টাকা, টিভিন ভাতা এক হাজার পাঁচশ টাকা, ধোলাই ২ হাজার টাকা করতে হবে। ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারীদের মতো প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মচারীদের বিনা সুদে ত্রিশ লাখ থেকে পঞ্চাশ লাখ টাকা গৃহ নির্মা ঋণ, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬২ করা এবং সকল দফতরে পোষ্য কোটা চালু করারও দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমিতি ১৭-২০ গ্রেড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী, বাংলাদেশ সরকারি গাড়ি চালক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রহিমসহ আরো অনেকে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন