চীনে সদ্য স্নাতক অর্ধেক তরুণের চাকরি নেই

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

চীনে চাকরির বাজারে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন নতুন স্নাতক ডিগ্রিধারীরা। কয়েক বছর আগে দেশটিতে উচ্চ কর্মসংস্থান বজায় থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটাই ভাটা পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত এপ্রিলের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, চীনে বর্তমানে অর্ধেকের কম সদ্য স্নাতক চাকরির প্রস্তাব পাচ্ছেন। এক বছর আগে এ হার ছিল অর্ধেকের বেশি। খবর নিক্কেই এশিয়া।

চীনের মানবসম্পদবিষয়ক কোম্পানি ঝাওপিনের পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিলে ৪৮ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারীর জন্য চাকরির সুযোগ ছিল। অর্থাৎ, অর্ধেকের বেশি স্নাতককে দেয়ার মতো চাকরি নেই শ্রমবাজারে। এক বছর আগে চাকরির বাজারে এ তরুণদের জন্য সুযোগ ছিল ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ।

কভিড-১৯ মহামারীর আগে সদ্য স্নাতক নিয়োগের পরিস্থিতি ছিল প্রায় উল্টো। এ বিষয়ে ঝাওপিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালেও নতুন স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশের চাকরির সুযোগ ছিল। অর্থাৎ, মহামারী শুরুর পর থেকে এ হার কমতে থাকে।

চীনে সদ্য স্নাতক করা শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি চাকরি হয় প্রযুক্তি ও আবাসন খাত এবং বেসরকারি স্কুলগুলোয়। কিন্তু কয়েক বছরে এসব খাতে ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান চালায় চীন সরকার। এ অভিযানের কারণে খাতগুলো লোকবল নিয়োগ কমিয়ে দেয়, যার প্রভাব পড়ে চাকরির বাজারে।

কয়েক বছর আগেও চীনে অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে আবাসন খাত। ধারণা করা হয়েছিল, কভিড-১৯-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এর ব্যাপকতা বাড়বে। কিন্তু একাধিক বড় কোম্পানির পতন খাতটিকে একদম নড়বড়ে করে দিয়েছে। এছাড়া ভোক্তা চাহিদার পতন ও মূল্যস্ফীতি মিলিয়ে দেশটির অর্থনীতি এখনো পুরোপুরি প্রাক-কভিড অবস্থায় ফেরেনি। যার প্রভাব পড়েছে চাকরির বাজারে।

ঝাওপিনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বেশকিছু কোম্পানির জনবল কমানোর উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২৩ সালের মধ্যে প্রায় নয় হাজার লোকবল কমিয়েছে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ‘এসএআইসি মোটর’। ২ হাজার ৬০০ কর্মী কমিয়েছে ‘দংফেং মোটর’।

সুযোগ কমে আসায় তরুণদের মধ্যে বেসরকারি খাতে চাকরির আগ্রহ কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে মাত্র ১৩ শতাংশ চাকরিপ্রত্যাশী বেসরকারি খাতে কাজ করতে চান। ২০২০ সালে এ হার ছিল ২৫ শতাংশ। ঝাওপিনের হিসাবে, সরকারি চাকরির প্রতি তরুণদের ঝোঁক বাড়ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন