![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_389344_1.jpg?t=1719788798)
বিতর্কে জো বাইডেনের দুর্বল পারফর্ম্যান্সের পর ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে
উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ঘুরেফিরে নতুন একটি প্রশ্ন শোনা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি
নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে শেষ পর্যন্ত জো বাইডেন সরে দাঁড়ালে কী হবে? এমন পরিস্থিতি
তৈরি হলেও এবারই তা প্রথম নয়। খবর সিএনএন।
কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুসারে, ১৯৭২ সালে ডেমোক্র্যাট দলে ভাইস
প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সিনেটর টমাস ইগলটন সরে যেতে বাধ্য হন। কারণ,
তখন জানাজানি হয় যে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। এজন্য চিকিৎসাও করিয়েছেন।
কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি দলের মনোনয়ন
পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সরে দাঁড়ান বা মারা যান, তাহলে ২৫তম সংশোধনী ভাইস প্রেসিডেন্টকে
প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পদে উন্নীত করবে। তবে দলের নিয়মকানুনই নির্ধারণ করবে কে দলের
পরবর্তী প্রার্থী হয়ে উঠবেন।
বিশ্লেষকরা জানান, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এ ধরনের পরিস্থিতিতে
নির্বাচনে প্রতিযোগিতার জন্য শীর্ষ প্রতিযোগী হবেন। তবে অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীরাও
আলোচনায় থাকবেন, যারা আগে যুক্তি দিয়েছিলেন যে তারা সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের
বিরুদ্ধে আরো কার্যকর প্রচার চালাতে পারবেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম নির্বাচনী বিতর্কের পর জো
বাইডেনকে অযোগ্য ঘোষণার প্রস্তাব করেছেন। এ গ্যাভিন নিউজমও আলোচনায় থাকতে পারেন।
বিবেচনা করার মতো আরেকটি গ্রুপ রয়েছে, ‘সুপার ডেলিগেটস’। প্রায়
৭০০ জন সিনিয়র নেতা এবং নির্বাচিত কর্মকর্তাদের একটি দল। এরা তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনভেনশনে প্রতিনিধি হয়। সাধারণত দলীয় নিয়মের অধীনে তারা প্রথম
ব্যালটে ভোট দিতে পারেন না। তবে তারা মনোনয়ন পরিবর্তন করতে পারেন। তারা পরবর্তী ব্যালটে
ভোট দিতে পারেন।
তবে সত্যি যদি নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাসের মধ্যে একজন
প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে এটি একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করবে।
তবে এ সংকট কাটানোর জন্য ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের কিছুটা ভিন্ন কৌশল রয়েছে।
ডেমোক্র্যাটরা এক্ষেত্রে পার্টির চেয়ার ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর এবং
কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করেন। পার্টির নিয়ম অনুযায়ী কনভেনশনের পর শূন্যস্থান
পূরণ করার ক্ষমতা ডেমোক্র্যাটিক জাতীয় কমিটিকে দেয়া হয়।
রিপাবলিকানরা এক্ষেত্রে দলের জাতীয় কমিটির মাধ্যমে জাতীয় সম্মেলন
পুনরায় আহ্বান করতে পারে। অথবা জাতীয় কমিটি চাইলে একজন নতুন প্রার্থী নির্বাচন করতে
পারে।