সরবরাহ বাড়ায় হিলিতে কমেছে ডিমের দাম

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ডিমের দাম। পাঁচদিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা কমে প্রতি পাতা (৩০টি) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। আগে তা বিক্রি হয়েছে ৩৯০ টাকায়। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে আপাতত দাম আর বাড়বে না, তবে আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

গতকাল হিলি বাজারে ডিম কিনতে আসা হায়দার আলী বলেন, ‘নিত্যপণ্যের যে দাম, তাতে আমাদের পক্ষে পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। অসচ্ছল মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর একমাত্র উপকরণ ডিম, কিন্তু ডিমের দামও বেড়ে গিয়েছিল। প্রতি পাতা ডিম ৩৫০ থেকে বেড়ে ৩৯০ টাকা হয়েছিল। যারা ডিম দিয়ে ভাত খেত, সেটি বন্ধের উপক্রম হতে বসেছিল। আগে এক হালি ডিম কিনলেও দাম বাড়ার কারণে দুটি দিয়ে চাহিদা মেটাতে হয়েছে। তবে বর্তমানে ডিমের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। পাতাপ্রতি ৪০ টাকা কমে ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।’ 

হিলি বাজারের ডিম বিক্রেতা সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত গরমে খামারে মুরগি মারা যাওয়া ও অসুস্থ হওয়ায় ডিম উৎপাদন কমে গিয়েছিল অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল কোম্পানিগুলো। মূল্য তালিকায় এক রেট লেখা হচ্ছিল, বিক্রি করছিল বাড়তি দামে। কোন ক্যাশমেমো দিচ্ছিল না তারা। মোকামে আমাদের চাহিদামাফিক ডিম দিচ্ছিল না। চাহিদার অর্ধেক ডিম দিচ্ছিল। এছাড়া ঈদের পর থেকেই মোকামে ডিমের দাম বাড়তে শুরু করে। তবে ঈদের পর ঢাকায় ডিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে ঘাটতি দেখা দেয়। সরবরাহ কমায় দাম বাড়তে বাড়তে প্রতি পাতা ৩৯০ টাকা হয়ে গিয়েছিল। আমরা ৩৮০ টাকায় কিনে ৩৯০ টাকা বিক্রি করছিলাম। মূলত বাড়তি দামে কেনায় আমাদের বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে গত কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। আবহাওয়া কিছুটা ভালো হওয়ায় খামারগুলোয় ডিম উৎপাদন বেড়েছে। মোকামে সরবরাহ বাড়ায় বর্তমানে ডিমের দাম নিম্নমুখী। দাম কমার সঙ্গে এখন চাহিদা অনুযায়ী ডিম সরবরাহ করছে মোকামগুলো থেকে। আমরাও কম দামে কিনতে পারছি। বিক্রি করতে পারছি কম দামে। সরবরাহ এমন থাকলে আপাতত ডিমের দাম বাড়বে না, আরো কিছুটা কমতে পারে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন