সিলেটে ৩য় দফা বন্যা

৫টি পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে সুরমা, কুশিয়ারা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি,সিলেট

ছবি : বণিক বার্তা

সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা, কুশিয়ারা সবকটা নদ নদীর পানি বেড়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯টায় সুরমা, কুশিয়ারা, সারি গোয়াইন নদীর পানিপ্রবাহ ৬টি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। আর ১ পয়েন্টবাড়লেই বিপৎসীমা ছাড়বে। এছাড়া কুশিয়ারা আমলশীদ পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৩, শেওলা পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সারি গোয়াইন নদীর পানিও বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সবকটা নদ নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

পাউবো সিলেটের কর্মকর্তারা বলছেন, সিলেটের সীমান্ত এলাকায় প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর পানির বাড়া-কমার বিষয়টি ভারতের বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে। সিলেটে কম বৃষ্টি হলেও ভারতের বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢল নিম্নাঞ্চলে প্রবাহিত হয়। এদিকে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার (০১ জুলাই) রাতে সিলেট জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, জেলায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রে রোববার (৩০ জুন) পর্যন্ত ৮ হাজার ৩০৮ জন আশ্রয় নিয়েছেন। জেলায় ৬৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ১৯৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে লোক উঠেছেন। তবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন নেই।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। যার জন্য পানি বাড়ছে। বুধবার (০৩ জুলাই) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। আবহাওয়া ভালো হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকে ৯ টার মধ্যে হয়েছে ৩ মিলিমিটার। আরো ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, বন্যার আগাম প্রস্তুতির কথা আগেই বলা হয়েছে। বন্যার কথা বিবেচনায় রেখে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন