আইজিসির প্রতিবেদন

বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য ও তেলবীজের দাম নিম্নমুখী

বণিক বার্তা ডেস্ক

২০২৪-২৫ মৌসুমে সয়াবিন উৎপাদন হতে পারে ৪১ কোটি ৫০ লাখ টন ছবি: ছবি: মিলিং অ্যান্ড গ্রেইন

বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য তেলবীজের দাম ক্রমাগত কমছে। ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন্স কাউন্সিল (আইজিসি) জুনে শস্য তেলবীজের মূল্য সূচক গত মাসের তুলনায় শতাংশ কমিয়েছে। সময় খাদ্যমূল্য সূচক ২২৯ পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি। জুনে আইজিসির নির্ধারিত খাদ্যমূল্য সূচক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ কম। সম্প্রতি সংস্থাটির গ্রেইন মার্কেট প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খবর ওয়ার্ল্ড-গ্রেইনডটকম।

আইজিসি শস্য তেলবীজ মূল্য সূচকের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী গম, ভুট্টা, বার্লি, চাল সয়াবিনের মূল্য পর্যবেক্ষণ করে থাকে। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসে গমের দাম গত মাসের তুলনায় ১২ শতাংশ কমেছে, যা অন্যান্য পণ্যের তুলনায় সবচেয়ে কম। চলতি মাসে যবের দাম গত মাসের তুলনায় কমেছে শতাংশ। এছাড়া চলতি বছর খাদ্যশস্য দুটির দাম গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে ১৯ শতাংশ করে কমেছে।

এদিকে অন্যান্য খাদ্যশস্যের দাম কমে গেলেও চলতি মাসে চালের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেড়েছে। তবে আইজিসির মে মাসের পূর্বাভাসের তুলনায় খাদ্যশস্যটির দাম মাত্র শতাংশ কমেছে।

অন্যদিকে ২০২৪-২৫ বিপণনবর্ষে ভুট্টা সয়াবিনের দামও ব্যাপকহারে কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইজিসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, সময় শস্য দুটির দাম গত বিপণনবর্ষের তুলনায় ২২ শতাংশ গত মাসের তুলনায় শতাংশ কমে যেতে পারে।

সম্প্রতি আইজিসি প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০২৪-২৫ মৌসুমে বিশ্বব্যাপী চাল উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। সময় বৈশ্বিক চাল উৎপাদন ৭০ লাখ টন বেড়ে রেকর্ড ৫২ কোটি ৮০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া সময় ভুট্টা গমের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অপরিবর্তিত থাকতে পারেও বলেও জানায় আইজিসি।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২৪-২৫ মৌসুমে সয়াবিন উৎপাদন ব্যবহার গত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে। আসন্ন বিপণনবর্ষে সয়াবিন উৎপাদন হতে পারে ৪১ কোটি ৫০ লাখ টন। আর সময় এটি ব্যবহারের পরিমাণ ৪০ কোটি ৪০ লাখ টনে পৌঁছাতে পারে।

এদিকে খাদ্যশস্যের মোট সমাপনী মজুদ বাড়ার পূর্বাভাসও দিয়েছে আইজিসি। সময় খাদ্যশস্যের সমাপনী মজুদ ৫২ কোটি ৮০ লাখ টন হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। যদিও এটি গত বছরের তুলনায় ৯০ লাখ টন কম গত এক দশকে সর্বনিম্ন।

এদিকে সম্প্রতি প্রকাশিত আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন চলতি বছর বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অপারেটিভ মিলার্স ইউরেশিয়া। সময় বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ৮০ লাখ টন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চলতি বছর বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন রফতানি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এমনকি গত বছর খাদ্যশস্যের দামও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে গিয়েছিল। তবে কৃষ্ণ সাগরীয় দেশগুলোর ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্যশস্য আমদানি-রফতানিতে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি।

বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অপারেটিভ মিলার্স ইউরেশিয়ার প্রধান ইরেন গুনহান উলুসয় বলেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেন বিশ্বের শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশ। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর গত বছর বিশ্বজুড়ে খাদ্যের দাম অস্থিতিশীল ছিল। যুদ্ধ শুরুর পর উৎপাদন কমে যাওয়াসহ অন্যান্য কারণে খাদ্যশস্য, বিশেষ করে গমের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ে। তবে ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের কারণে রফতানি কিছুটা হলেও অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে। বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন চলতি বছর বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অপারেটিভ মিলার্স ইউরেশিয়া। সময় বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ৮০ লাখ টন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর আনাদোলু এজেন্সি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চলতি বছর বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন রফতানি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এমনকি গত বছর খাদ্যশস্যের দামও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে গিয়েছিল। তবে কৃষ্ণ সাগরীয় দেশগুলোর ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্যশস্য আমদানি-রফতানিতে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি।

বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অপারেটিভ মিলার্স ইউরেশিয়ার প্রধান ইরেন গুনহান উলুসয় বলেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেন বিশ্বের শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশ। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর গত বছর বিশ্বজুড়ে খাদ্যের দাম অস্থিতিশীল ছিল। যুদ্ধ শুরুর পর উৎপাদন কমে যাওয়াসহ অন্যান্য কারণে খাদ্যশস্য, বিশেষ করে গমের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ে। তবে ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের কারণে রফতানি কিছুটা হলেও অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন