অস্ট্রেলিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত

নীতিমালা ভাঙলে সুপারমার্কেটকে ১০০ কোটি ডলার জরিমানা

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি বড় সুপারমার্কেট চেইনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি উৎপাদনকারীদের কম মূল্যে পণ্য সরবরাহে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন দেশটির পাইকারি বিক্রেতা সরবরাহকারীরা। সমস্যা নিরসনে সুপারমার্কেট পরিচালনসংক্রান্ত সরকারি নীতিমালা অনুসরণ বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার। নীতিমালা না মানলে সুপারমার্কেটগুলোকে ১০০ কোটি ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, দেশটির সাবেক প্রতিযোগিতামন্ত্রী ক্রেইগ ইমারসন সম্প্রতি উল্লেখ করেন, সুপারমার্কেট মার্কেটগুলোর কর্তৃপক্ষ সরবরাহকারীদের মধ্যে দাম নির্ধারণের ব্যাপারে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে। প্রচলিত নীতিমালা এর কোনো সমাধান করতে পারছে না। অবস্থা নিরসনে নীতিমালা অনুসরণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ায় পরিচালন নীতিমালা অনুসরণের বিষয়টি ঐচ্ছিক। পাইকারি বিক্রেতা মেটক্যাশসহ উলওর্থ, কোলস, এএলডিআইয়ের সুপারমার্কেট চেইনগুলো বর্তমানে বার্ষিক ৫০০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলারের (৩৩০ কোটি ডলার) বেশি মুনাফা করে। মূলত এসব কোম্পানিকে লক্ষ্য করেই নীতিমালা অনুসরণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্ট্রেলিয়ার সুপারমার্কেট বিশ্বের অন্যতম কেন্দ্রীভূত বাজার। উলওর্থ কোলস একসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ মুদিপণ্য বিক্রি করে। সম্প্রতি দেশটির সরকার খাতে ছয়টি তদন্ত পরিচালনা করে। প্রতিযোগিতা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটিও এরই অংশ।

নতুন নীতিমালার আওতায় কোম্পানিগুলোর বার্ষিক মুনাফার ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। ২০২৩ সালে উলওর্থ খাদ্যপণ্য বিক্রি করে হাজার ৮০০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কোলস হাজার ৭০০ অস্ট্রেলিয়ান মেটক্যাশ হাজার অস্ট্রেলিয়ান মুনাফা করেছে। তবে এএলডিআই তাদের আয়ের বিবরণী প্রকাশ করেনি।

এদিকে যৌথ এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ার কৃষিমন্ত্রীয় মুরে ওয়াট, প্রতিযোগিতামন্ত্রী অ্যান্ডে লেইঘ কোষাধ্যক্ষ জিম চ্যালমার্স বলেন, ‘নতুন সিদ্ধান্ত ভোক্তা কৃষকদের স্বার্থে নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নীতিমালা অনুসরণ বাধ্যতামূলক করতে কেন্দ্রীয় সরকার আইন পাসকে প্রাধান্য দেবে।

এদিকে সরকারের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখছে কোম্পানিগুলো। উলওর্থ কোলসের প্রতিনিধিরা জানান, ‘আমরা টেকসই মুদিবাজার তৈরিতে সরকারি পদক্ষেপকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য প্রতিযোগিতা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনের সুপারিশ বিবেচনায় নেয়া হবে। এএলডিআইয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘নীতিমালা অনুসরণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তের সঙ্গে তারা একমত। মুহূর্তে আমরা সুপারিশগুলো খতিয়ে দেখছি। মেটক্যাশের একজন মুখপাত্রও একই ধরনের কথা জানিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ফার্মারস ফেডারেশন বলছে, নতুন সিদ্ধান্তের ফলে মুদিপণ্য সরবরাহকারীদের দরকষাকষির ক্ষমতা আরো বাড়বে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন