যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্টোর বন্ধ করবে ওয়ালিগ্রিনস

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ৮ হাজার ৬০০ স্টোর পরিচালনা করে ফার্মাসিউটিক্যালস চেইন ওয়ালগ্রিনস। এসব স্টোরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। ব্যবসা পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে ওয়ালগ্রিনস। খবর সিএনএন।

অবশ্য পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ঠিক কতটি স্টোর বন্ধ করা হবে, তার নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায়নি ওয়ালগ্রিনস কর্তৃপক্ষ। 

ওয়ালগ্রিনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম ওয়েন্টওয়ার্থ বিশ্লেষকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, ‘যেগুলো লাভজনক নয় এবং ওয়ালগ্রিনসের কৌশলগত পর্যালোচনায় স্বল্প কার্যকর, এ ধরনের প্রায় ২৫ শতাংশ স্টোরের জন্য পরিবর্তন আসন্ন। স্টোরগুলোর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বন্ধ করে দেয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এমন এক পর্যায়ে আছি, যেখানে বর্তমান ফার্মেসি মডেলটি টেকসই নয় এবং আমাদের অপারেটিং পরিবেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাজারে ভিন্নভাবে উপস্থিত হতে হবে।’

গত সপ্তাহের শেষের দিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ওয়েন্টওয়ার্থ বলেছিলেন, ‘এমন স্টোরগুলো বন্ধ করা হবে যেগুলো লাভজনক নয়, একটি অন্যটির খুব কাছাকাছি কিংবা চুরিসংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে।’

ওয়ালগ্রিনস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে এ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে পারফরম্যান্সের উন্নতি না হলে আরো কিছু স্টোর বন্ধের কথা বিবেচনা করা হবে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানকর্মীদের বড় একটি অংশকে অন্য কোথাও চাকরির প্রস্তাব দেয়া হবে।

এদিকে শেয়ার মার্কেটেও দুর্বল অবস্থানে রয়েছে ওয়ালগ্রিনস। সম্প্রতি কোম্পানিটির শেয়ারদর ২০ শতাংশ কমেছে, যা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। 

আয়সংক্রান্ত এক বিবৃতিতেও কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি তাদের পুরো বছরের মুনাফার পূবার্ভাস কমাতে বাধ্য করেছে।

ওয়েন্টওয়ার্থ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন অপারেটিং পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছি, যার মধ্যে মার্কিন ভোক্তাদের ওপর ক্রমাগত চাপ এবং সাম্প্রতিক বাজারের গতিশীলতার প্রভাব রয়েছে। ফলে ফার্মেসির প্রফিট মার্জিনকে ক্ষয় করেছে। আমাদের ফলাফল এবং পূর্বাভাস এ বিষয়গুলোকে প্রতিফলিত করে।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ওষুধের দোকানের ব্যবসা থেকে লাভের একটি বড় অংশ নিয়ে গেছে।

চলতি বছরের মে মাসে এক হাজরের বেশি আইটেমের দাম কমিয়েছে ওয়ালগ্রিনস। 

মূল্যস্ফীতি চাপে পিষ্ট ক্রেতাদের আকর্ষণের প্রচেষ্টায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের অনুসরণ করে এ উদ্যোগ নেয় তারা। তবে গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি তাদের মুনাফার ক্ষতি করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন