সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার রেলওয়ের দিকে নজর হিটাচির

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা

গত মাসে ফরাসি অ্যারোস্পেস কোম্পানি থ্যালিস গ্রুপের রেলওয়ে সিগন্যাল ব্যবসা জিটিএস অধিগ্রহণ করেছে জাপানের হিটাচি। এ0অধিগ্রহণের মাঝে এশিয়ার রেলওয়ে বাজারে আধিপত্য বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে কোম্পানিটি। খবর নিক্কেই এশিয়া।

বর্তমানে এশিয়ার রেল শিল্পে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে চীন। সে হিসেবে হিটাচি হতে যাচ্ছে নতুন প্রতিপক্ষ।

জাপানের শিনকানসেন বুলেট ট্রেনের উৎপাদনকারী হিসেবে হিটাচি পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কোম্পানিটি একাধিক অধিগ্রহণের মধ্য দিয়ে বড় আকার ধারণ করেছে। ২০১৫ সালে ইতালির ফিনমেকানিকার মালিকানাধীন রেল কার নির্মাতা আনসাল্ডোব্রেডা ও সিগনাল নির্মাতা এসটিএস কিনে বিশ্ববাজারে প্রবেশ করে হিটাচি।

সিরিজ অধিগ্রহণের মাধ্যমে রেলওয়ের পরিষেবাসংক্রান্ত পুরো প্যাকেজ সরবরাহের যোগ্যতা অর্জন করেছে হিটাচি। এ কারণে একাধিক কোম্পানি থেকে আলাদা আলাদা পরিষেবা কেনার বদলে হিটাচিতে একসঙ্গে পুরো প্যাকেজ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে হিটাচি রেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গুইসেপ মারিনো।

বর্তমানে জাপান, যুক্তরাজ্য ও ইতালিতে হিটাচির শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। জিটিসির মাধ্যমে ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডার পাশাপাশি এশিয়ার সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মতো বাজারে প্রবেশ নিশ্চিত হয়েছে। ফরাসি, জার্মান ও কানাডার একাধিক কোম্পানির একীভূতকরণের সূত্রে জিটিএস গঠিত হওয়া বড় একটি বাজার সরাসরি হাতে পেয়েছে জাপানি এ রেলওয়ে জায়ান্ট।

গুইসেপ মারিনো বলেন, ‘জিটিএসের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পর এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রেলওয়ে শিল্পে আমাদের উপস্থিতি শক্তিশালী হয়েছে। এ অধিগ্রহণের ফলে সিঙ্গাপুরের মতো আঞ্চলিক বাণিজ্য কেন্দ্র ও মালয়েশিয়ায় ১৬০ নতুন কর্মী যুক্ত হচ্ছেন। অনেক দিন ধরেই সিঙ্গাপুরকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দেখছি। মালয়েশিয়ায়ও দ্রুত প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।’

এদিকে দুটি রেলগাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান একীভূত হয়ে চীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সিআরআরসি। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটি বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় হিটাচির বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। এরই মধ্যে বড় কিছু প্রকল্প বাগিয়ে নিয়েছে সিআরআরসি। ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের উচ্চ গতির রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কোম্পানিটির নাম। এছাড়া কুয়ালালামপুর থেকে সিঙ্গাপুরের রেল যোগাযোগ নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে সিআরআর।

উল্লেখ্য, কুয়ালালামপুর ও সিঙ্গাপুরের এ রেল সংযোগ জাপানি কোনো কোম্পানি অংশগ্রহণের প্রস্তাব দেয়নি। বিষয়টি অবহিত বলেও জানান গুইসেপ মারিনো। সঙ্গে জানান, জনসংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ অবস্থানে আসতে চলা ভারতের দিকে নজর এখন হিটাচির।

সম্প্রতি মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদে উচ্চ গতির রেলওয়ে চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এ প্রকল্পে যুক্ত হতে এরই মধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে হিটাচি। তারা ভারতের জন্য বিশেষভাবে তৈরি বগির নকশাও করছে।

এশিয়ার বাইরেও সিআরআরসির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে হিটাচি। বিশেষ করে জার্মানির বাজারে প্রবেশের জন্য সিআরআরসি, ফ্রান্সের আলস্টম ও জার্মানির সিমেন্স মোবিলিটির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন