দেশের সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা ওয়ালটন ফ্রিজে

ছবি : বণিক বার্তা

দেশী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেফ্রিজারেটর বাজারের সিংহভাগ হিস্যা ওয়ালটনের দখলে। অর্জন করে নিয়েছে দেশের সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা। এর কারণ কী?

সব শ্রেণী-পেশার গ্রাহকের পছন্দ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করছি আমরা। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিমের প্রকৌশলীদের মাধ্যমে ওয়ালটন ফ্রিজে সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তি ও ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। ওয়ালটন ফ্রিজ যেমন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, তেমনি দামেও সাশ্রয়ী। ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। পাশাপাশি রয়েছে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা। মূলত এসব কারণে দেশের রেফ্রিজারেটর বাজারের সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা অর্জন করে সুপারব্র্যান্ড হয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ।

দেশের রেফ্রিজারেটর বাজারে সুপারব্র্যান্ডের তকমা ধরে রাখতে সামনের দিনগুলোয় আপনারা কোন বিষয়ে জোর দিচ্ছেন?

রেফ্রিজারেটর খাতের অটোমেশন, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে অধিক জোর দিয়েছি আমরা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়াতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও ফিচারের পণ্য তৈরির লক্ষ্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যদের থেকে ওয়ালটন কতটা এগিয়ে?

বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও পরিবেশ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে এমএসও প্লাস (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অব থিংস বেজড (এআইওটি) প্রযুক্তি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরম্যঅন্স নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে ওয়ালটনই প্রথম বিএসটিআইয়ের ফাইভস্টার এনার্জি রেটিং সনদপ্রাপ্ত ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্বে ওয়ালটনই প্রথম পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইউএনডিপির সমন্বয়ে ফ্রিজে ক্ষতিকারক সিএফসি ও এইচসিএফসি গ্যাস ফেজ আউট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ কমেছে। বর্তমানে ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহার হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ গ্যাস।

পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার জন্য ওয়ালটন এ বছর ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার বাইরে সামাজিক পর্যায়েও কি ওয়ালটন কোনো কার্যক্রম চালাচ্ছে?

হ্যাঁ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আওতায় অপরিহার্য প্রতিপালন, পরিবেশগত প্রতিপালন, প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিপালন ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম বিবেচনায় ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেয়েছে ওয়ালটন। পরিবেশ সুরক্ষা ও উষ্ণায়ন কমানোর লক্ষ্যে সামাজিক পর্যায়েও বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছি আমরা। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস সামনে রেখে সারা দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় দেশব্যাপী ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর, প্লাজা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের মাধ্যমে স্কুল, কলেজ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও উপযুক্ত খালি জায়গায় পাঁচ লাখ গাছ লাগানো হবে।

দেশের রেফ্রিজারেটর বাজারে কোন কোন দিক থেকে ওয়ালটন অন্যদের থেকে আলাদা?

দেশের ফ্রিজের বাজারে সর্বোচ্চসংখ্যক ডিজাইন ও মডেল, গুণগত মান, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের দিক থেকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছে ওয়ালটন। আমাদের স্বতন্ত্র বৈশ্বিষ্ট্য হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিম। তারা ১২০টি দেশের আবহাওয়া প্যাটার্ন অনুযায়ী ফ্রিজের ডিজাইন তৈরি করছে। অঞ্চলভেদে আমাদের দেশের আবহাওয়ার তারতম্য রয়েছে। সব ধরনের আবহাওয়া উপযোগী করে ওয়ালটন ফ্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। বাজারজাত করার আগে ৭০টিরও বেশি কোয়ালিটি কন্ট্রোল টেস্ট পাস করতে হয়। এ জায়গাটাতেই আমাদের সফলতা। এছাড়া ৫০ থেকে ৬৬০ লিটার পর্যন্ত ধারণক্ষমতার ফ্রিজ রয়েছে আমাদের। সব শ্রেণী-পেশার গ্রাহকের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করছি আমরা। রয়েছে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা। মূলত এসব কারণে অন্যান্য ব্র্যান্ডের থেকে আলাদা ওয়ালটন ফ্রিজ, যার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন ফ্রিজ দশমবারের মতো বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।

দেশের রেফ্রিজারেটর খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে গবেষণা ও উদ্ভাবনে ওয়ালটন কেমন বিনিয়োগ করছে? স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার উদ্ভাবনে ওয়ালটনের সাফল্য কতটুকু?

ওয়ালটনের বিনিয়োগের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যয় হচ্ছে পণ্য গবেষণা, উদ্ভাবন ও অটোমেশনে। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে গড়ে তোলা হয়েছে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। যেখানে কাজ করছেন বাংলাদেশ, কোরিয়া, ইতালি, চীন, তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশের অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের এক চৌকস টিম। তারা প্রতিনিয়ত বাজার গবেষণার মাধ্যমে এআইওটির মতো স্মার্ট প্রযুক্তি ওয়ালটন ফ্রিজে সংযোজন করেছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ফ্রেঞ্চ-ডোর ফ্রিজ উৎপাদনকারী দেশের মর্যাদা লাভ করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বিশ্বের প্রথম এইট-ইন-ওয়ান কনভার্টিবল সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ও বাজারজাতকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আবির্ভাব ঘটেছে।

ফ্রিজের দাম মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের কতটা নাগালে এসেছে? মূল্যস্ফীতির মধ্যে ফ্রিজের দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে রাখতে আপনারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন?

আগে ফ্রিজ ব্যবহার হতো শুধু উচ্চবিত্তের ঘরে। ওয়ালটন ২০০৮ সালে দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফ্রিজ উৎপাদন শুরুর পর দাম মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের হাতের নাগালের মধ্যে এসে পড়ে। এখন সব শ্রেণী-পেশা ও আয়ের লোকের ঘরে পৌঁছে গেছে ফ্রিজ। চলমান ডলার সংকটের কারণে বেসিক কাঁচামালের আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে উৎপাদন ব্যয় যে অনুপাতে বেড়েছে সেই হারে আমরা পণ্যের দাম বাড়াইনি। বরং ফ্রিজের দাম গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রেখেছি।

সামনে ঈদুল আজহা। ঈদের মৌসুমে ফ্রিজ ও ফ্রিজারের চাহিদা কেমন থাকে? আপনাদের প্রস্তুতি কেমন এবং প্রত্যাশা কী?

ঈদের মৌসুমে দেশে প্রতি বছর রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের চাহিদা বাড়ে। বাংলাদেশে ঈদের সময়টাকে ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সারা বছরের ফ্রিজ বিক্রির প্রায় ৭০ ভাগ হয় ঈুদল ফিতর ও ঈদুল আজহার সময়ে। এবারো ঈদের মৌসুমে ফ্রিজের সিংহভাগ চাহিদা পূরণ ও বিক্রিতে শীর্ষস্থান বজায় রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ওয়ালটন। ঈদ উপলক্ষে বাজারে ছাড়া হয়েছে সর্বাধুনিক ফিচারের বেশকিছু নতুন মডেলের ফ্রিজ। ঈদে ফ্রিজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা উৎপাদন লাইন চালু রয়েছে। পাশাপাশি উৎপাদিত ফ্রিজ দেশের সর্বত্র ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুমে পৌঁছে দিতে সরবরাহ চ্যানেল ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে।

ঈদ বাজারে ওয়ালটনের কত মডেলের ফ্রিজ পাওয়া যাচ্ছে। এসব ফ্রিজের দরদাম, কিস্তিসহ অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে বলুন।

ঈদ বাজারে সব শ্রেণী-পেশা ও আয়ের ক্রেতাদের জন্য ওয়ালটনের রয়েছে শত শত ডিজাইন ও মডেলের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসব ফ্রিজ ১৫ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আছে জিরো ইন্টারেস্টে ছয় মাসের সহজ কিস্তিসহ সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের কিস্তি সুবিধা।

ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটন ফ্রিজে কোনো বিশেষ সুবিধা রয়েছে কি?

গত ১ মার্চ থেকে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ২০’। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য ননস্টপ মিলিয়নেয়ার হওয়ার সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মিলিয়নেয়ার হয়েছেন ৩৮ ক্রেতা। তারা প্রত্যেকে পেয়েছেন নগদ ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন বেশ কয়েকজন ক্রেতা। প্রত্যেক ক্রেতার জন্য রয়েছে নিশ্চিত উপহার।

বাজারে আসা ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার সম্পর্কে বলুন।

ঈদুল আজহা সামনে রেখে অর্ধশতাধিক অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ বেশকিছু নতুন মডেলের ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। নতুন মডেলের মধ্যে রয়েছে ৬৪৬ লিটার ধারণক্ষমতার মাল্টি-কালার ডিজাইনের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর, নাইন-ইন-ওয়ান কনভার্টিবল মোডসমৃদ্ধ ৬৬০ লিটার ফ্রেঞ্চ ডোর রেফ্রিজারেটর, ইউরোপিয়ান ডিজাইনের ৩৪৩ লিটার অত্যাধুনিক নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ৩৩৪ লিটার ভার্টিকল ফ্রিজার, কনভার্টিবল মোডের ২৫৫ লিটার চেস্ট ফ্রিজার ও চকোলেট কুলার। নান্দনিক ডিজাইনে তৈরি ওয়ালটনের বিশ্বমানের এসব ফ্রিজ প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বাড়িয়ে দেবে ঘরের আভিজাত্য। এসব ফ্রিজের কম্প্রেসরে ব্যবহার করা হয়েছে সিএফসি ও এইচসিএফসিমুক্ত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ (R600a) গ্যাস। এসব ফ্রিজের এআইওটি-ভিত্তিক এমএসও প্লাস (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। ওয়ালটন নতুন মডেলে ব্যবহৃত এআই ডক্টর ফিচার গ্রাহকের বাসায় ব্যবহৃত ফ্রিজে কোনো সমস্যা থাকলে তা আগেই সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরা জানতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী সমস্যা সমাধান করবেন। এসব ফ্রিজে রয়েছে ইন্টেলিজেন্ট জার্ম টার্মিনেটর (আইজিটি), স্মার্ট কন্ট্রোল, ডোর ওপেনিং অ্যালার্ম, চাইল্ড লক, থ্রি লেয়ার ওডোর গার্ড ও হিউম্যান ডিটেক্টর। স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় দরজা না খুলে হাতের স্পর্শের মাধ্যমে ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে তথ্য দিন।

ওয়ালটন ফ্রিজের আন্তর্জাতিক মানের নিশ্চয়তায় ক্রেতাদের দেয়া হচ্ছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, ১২ বছরের কম্প্রেসর গ্যারান্টি এবং পাঁচ বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা। আমাদের রয়েছে দেশের প্রথম আইএসও সার্টিফায়েড আফটার সেলস সার্ভিস নেটওয়ার্ক। ৮০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ওয়ালটন।

কোন কোন দেশে ওয়ালটন ফ্রিজ রফতানি হচ্ছে, এর পরিমাণ কত? রফতানি নিয়ে আগামী দিনে ওয়ালটনের পরিকল্পনা কী?

ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান, ইরাক, ইয়েমেন, নাইজেরিয়া, তুরস্ক, অস্ট্রিয়াসহ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপের ৪০টিরও বেশি দেশে রেফ্রিজারেটরসহ ফ্রিজের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রফতানি করছে ওয়ালটন। গত অর্থবছরে প্রায় এক লাখ ইউনিট ফ্রিজ রফতানি করেছি আমরা। ২০২৬ সালের মধ্যে তিন লাখ ইউনিট ফ্রিজ রফতানির টার্গেট রয়েছে আমাদের। সেজন্য ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বে রফতানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছি আমরা। গঠন করেছি গ্লোবাল বিজনেস টিম। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। সেখানে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া অর্ধশতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় তিনটি ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড এখন ওয়ালটনের। ব্র্যান্ড তিনটি হলো এসিসি (ACC), জানুসি ইলেকট্রোমেকানিকা (ZEM) ও ভার্ডিকটার (Verdichter)। ইউরোপীয় এ তিন ব্র্যান্ডের কম্প্রেসর, ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিকস পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাজারজাত করবে ওয়ালটন। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ইলেকট্রনিকস পণ্যের রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় মেলায়ও অংশ নিচ্ছি আমরা। ২০২৩ সালে আমেরিকার লাস ভেগাসে কনজিউমার ইলেকট্রনিকসের সর্ববৃহৎ মেলা ‘সিইএস ফেয়ার’ এবং চীনের ক্যান্টন ফেয়ারে অংশ নিয়ে সাড়া পেয়েছি আমরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন