কোনটা ভালো

ফ্রস্ট নাকি নন-ফ্রস্ট

ছবি : সংগৃহীত

সাধ্যের মধ্যে ভালো ফ্রিজটিই কিনতে চান সবাই। গুণগত মানের একটি ফ্রিজ কিনতে গেলে তাই আলাদা করে মাথায় রাখতে হয় অনেক কিছুই। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দ্বিধা কাজ করে ফ্রস্ট ফ্রিজ নাকি নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ কেনা হবে তা নিয়ে। তাই ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে পার্থক্য কী তা জেনেই ফ্রিজ কেনা উচিত।

ফ্রস্ট ফ্রিজ: ফ্রস্ট ফ্রিজ মূলত সরাসরি শীতল রেফ্রিজারেটর। প্রযুক্তির মাধ্যমে এ ফ্রিজ নিজেই ফ্রিজের ভেতর বরফ জমাতে সক্ষম।

ফ্রস্ট ফ্রিজের বাতাসে আর্দ্রতা থাকায় সহজেই জমা হয় বরফ। আবার ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিকমতো সেট না করলেও বরফ জমতে পারে। ডিপ ফ্রিজগুলোই ফ্রস্ট হয় বেশি।

ফ্রস্ট ফ্রিজে রাখা খাবার দীর্ঘদিন ভালো থাকে। বরফ হয়ে যাওয়ার কারণে ওইসব খাবারের মান আগের মতোই থাকে। সাধারণত ফ্রস্ট ফ্রিজে মাছ, মাংস, দুধসহ বিভিন্ন খাবার সংরক্ষণ করে দীর্ঘদিন ভালো রাখা যায়। আবার দীর্ঘক্ষণ কারেন্ট না থাকলেও ফ্রস্ট ফ্রিজে রাখা খাবার ভালো থাকে। এমনকি ফ্রস্ট ফ্রিজ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীও বটে। তাই বেশির ভাগ মানুষেরই ফ্রস্ট ফ্রিজ কেনার প্রতি ঝোঁক বেশি। তবে ফ্রস্ট ফ্রিজ ব্যবহারে অনেক সুবিধা থাকলেও কিছু অসুবিধাও আছে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে বরফ জমতে থাকে বলে এটি মাসে দুবার পরিষ্কার করা প্রয়োজন। কারণ এতে ফ্রিজের ভেতরের জায়গা কমতে থাকে।

নন-ফ্রস্ট: ফ্রস্ট ফ্রিজের ঠিক উল্টোটি হলো নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। এ ধরনের ফ্রিজের ভেতরের শীতল বাতাসে থাকে না কোনো আর্দ্রতা। অর্থাৎ শুষ্ক বায়ুর মাধ্যমে শীতল হয় এ ফ্রিজ।

এ ধরনের ফ্রিজের ভেতরে বরফ জমে না। তবে ফ্রিজে রাখা খাবারে যাতে দুর্গন্ধ না হয় সেটি নিশ্চিত করে নন ফ্রস্ট ফ্রিজ।

প্রতিদিনের রান্না করা খাবার, ডিম, সবজি, ফলমূল ভালো রাখতে নন ফ্রস্ট ফ্রিজ বেশি ব্যবহার হয়। তবে দীর্ঘক্ষণ কারেন্ট না থাকলে এ ধরনের ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হয়ে যায় দ্রুত। আবার বিদ্যুৎও বেশি খরচ হয় নন ফ্রস্ট ফ্রিজে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন