বিশ্ব জয় করে হাইসেন্স এখন বাংলাদেশে

ছবি : সংগৃহীত

জনপ্রিয় হাইসেন্স ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ডিজাইন ও ক্যাপাসিটির রেফ্রিজারেটর বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছে ফেয়ার ইলেকট্রনিকস। হাইসেন্স ‘ইউরো ২০২৪’-এর অফিশিয়াল পার্টনার। 

বিগত বছরগুলোয় দেখা গেছে, ঈদের বাজারে ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি বেড়ে যায়। এ বাড়তি চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ছোট-বড় পরিবারের উপযোগী নানা মডেলের রেফ্রিজারেটর বাজারে এনেছে ফেয়ার ইলেকট্রনিকস। এর মধ্যে রয়েছে ২৫২ লিটারের হাইসেন্স বটম-মাউন্ট ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ৩২৪ লিটারের টপ-মাউন্ট নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ২৭৪ লিটারের সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজার, ৬০৯ লিটারের ক্রস ডোর রেফ্রিজারেটর, ৫১৯ লিটারের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর এবং ১৮৯ ও ২৪০ লিটারের চেস্ট ফ্রিজার।

হাইসেন্স রেফ্রিজারেটরে ব্যবহৃত ইনভার্টার প্রযুক্তি দেবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নিশ্চয়তা। ইনভার্টার কম্প্রেসরের কারণে শব্দ হয় কম এবং নিশ্চিত করে কম্প্রেসরের লাইফটাইম সাপোর্ট। তার পরও ১২ বছরের কম্প্রেসর ওয়ারেন্টি তো থাকছেই। 

হাইসেন্স ক্রস ডোর রেফ্রিজারেটরের চারটি দরজায় ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক ও প্রিমিয়াম মেটাল গাইড প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তির কারণে ড্রয়ারগুলো সহজে খোলা বা আটকানো যায়। বড় সাইজের ড্রয়ারে বেশি পরিমাণে রাখা যাবে মাছ-মাংস। নতুন প্রিমিয়াম ব্ল্যাক গ্লাস ডোর ডিজাইন বাড়িয়ে দেয় সৌন্দর্য। এর ট্রিপল জোন, অর্থাৎ তিনটা আলাদা কম্পার্টমেন্ট রয়েছে। এগুলো ফ্রিজ, ফ্রিজার ও মাই ফ্রেশ চয়েস। প্রতিটা জোনে আলাদা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিনের প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে মাই ফ্রেশ চয়েস জোনকে নরমাল ফ্রিজ হিসেবে ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে। 

সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটরে রয়েছে দুটি ভিন্ন রঙের গ্লাস ডোর। এর ওয়াটার ডিসপেনসার কাজ করবে ঠাণ্ডা পানির সহজ উৎস হিসেবে। অভিজাত ডিজাইনের এ ফ্রিজ বাড়াবে ঘরের নান্দনিকতাও।

আপরাইট প্রিমিয়াম সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজারে ডিফ্রস্ট করার ঝামেলা নেই। এ নন ফ্রস্ট ফ্রিজারে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় না। এর এলইডি লাইট ফ্রিজের ভেতরে কোনো প্রকার হিট তৈরি করে না। ফলে খাবার ভালো থাকে দীর্ঘ সময়। এছাড়া মেটাল-টেক কুলিং, ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেম ও বড় বক্সের সুবিধা তো আছেই। 

টপ-মাউন্ট নন ফ্রস্ট বড় সাইজের ভেজিটেবল বক্স থাকায় বেশি পরিমাণে শাকসবজি বা ফলমূল রাখা যায়। আছে টেম্পারড কাচের তাক এবং মাল্টি এয়ার ফ্লো, যা ফ্রিজের ভেতরে সব জায়গায় সমান টেম্পারেচার নিশ্চিত করে। 

বটম-মাউন্ট ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরের ফ্ল্যাট ডোর ডিজাইন ও রিসেস হ্যান্ডেল ফ্রিজগুলো দেখতে আকর্ষণীয়। পাশাপাশি এতে রয়েছে ৯৪ লিটার ফ্রিজার অংশ, যেখানে তুলনামূলক বেশি মাছ-মাংস রাখা যায়। হাইসেন্স কনভার্টিবল ও গ্লাস ডোর চেস্ট ফ্রিজারে বার হ্যান্ডেলের মতো অতিরিক্ত অংশ বের হয়ে থাকে না। ফ্রিজার থেকে ফ্রিজে কনভার্ট হওয়ার সুযোগও রয়েছে। আছে ডোর লক করার সুবিধাও। 

স্মার্ট লুক ও আধুনিক প্রযুক্তি হাইসেন্স ফ্রিজকে করে তুলেছে আরো প্রিমিয়াম। তাই ব্র্যান্ড, পারফরম্যান্স, অ্যাডভান্স ফিচার, লুক—সব দিক দিয়েই হাইসেন্স ফ্রিজ এবার ঈদুল আজহার নতুন চমক। মূল্য বিবেচনায়ও সাধ্যের মধ্যে রয়েছে হাইসেন্স ফ্রিজ। ফেয়ার ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশে হাইসেন্স কনজিউমার ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের উৎপাদক ও পরিবেশক। দেশব্যাপী ফেয়ার ইলেকট্রনিকস স্মার্ট প্লাজায় আকর্ষণীয় অফারের পাশাপাশি ইএমআই ও সহজ কিস্তিতে পাওয়া যাচ্ছে হাইসেন্সের এসি, টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন