গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডে রেফ্রিজারেটর উৎপাদন করে যমুনা

ছবি : বণিক বার্তা

দেশে ফ্রিজের বাজার এখন কেমন?

মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। শহর কিংবা গ্রাম, উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, এমনকি নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরেও স্থান করে নিয়েছে ফ্রিজ। দিন দিন ফ্রিজের ব্যবহার বাড়ছে। বাজার গবেষকদের মতে, বছরে এ বৃদ্ধির হার প্রায় ১৫-২০ শতাংশ।

যমুনা ফ্রিজের কী কী বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ-সুবিধা রয়েছে?

যমুনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলস লি. ২০১৪ সালে বৃহৎ পরিসরে ইলেকট্রনিকস হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন শুরু করে। আধুনিক যন্ত্রপাতি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ জনবল, উন্নত কাঁচামাল ও প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী উৎকর্ষ সাধনের ফলে যমুনা আজ দেশের ১ নম্বর কোয়ালিটি রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড। সব ধরনের ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী যমুনা রেফ্রিজারেটর বিভিন্ন সাইজ, ডিজাইন, ক্যাপাসিটি ও দামে পাওয়া যাচ্ছে। রেগুলার রেফ্রিজারেটর মডেল ছাড়াও আমাদের রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোলজির স্মার্ট ডাবল ডোর, টি ডোর ও ক্রস ডোর রেফ্রিজারেটর।

আমরা সংখ্যাতত্ত্বে বিশ্বাসী নই, বরং গুণ ও মানে সেরা হতে চাই। আমাদের রেফ্রিজারেটরগুলোর বিক্রয়োত্তর সেবা প্রায় নেই বললেই চলে (দশমিক শূন্য ১ শতাংশ)। প্রতি পাঁচ বছরে কম্প্রেসর পরিবর্তনের হার প্রায় ১ শতাংশের নিচে, যা বাজারে প্রচলিত রেফ্রিজারেটরের চেয়ে অনেক কম।

আমাদের দেশের বাজারে প্রচলিত রেফ্রিজারেটরগুলো তৈরি হয় সিলিকন জেল দিয়ে। এটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এবং খাদ্যমান নষ্ট করে। বাংলাদেশে একমাত্র যমুনা রেফ্রিজারেটর উৎপাদন প্রক্রিয়ার কোথাও সিলিকন জেল ব্যবহার করে না। এছাড়া আমাদের ফ্রিজগুলোয় পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ গ্যাস ব্যবহৃত হয়, যা মানবদেহের ক্ষতি করে না।

ফ্রিজে কী ধরনের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এনেছেন? আপনাদের ফ্রিজ কতটা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী?

বাজার চাহিদা ও ভোক্তাদের রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে লেটেস্ট টেকনোলজিক্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট নিয়ে কাজ করছি আমরা। এ কারণে আমাদের ব্র্যান্ডের পেঅফ লাইন ‘ইনোভেশন ফর স্মার্টার লাইফ’। আমাদের ফ্রিজে ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় এবং খাবারের মান সঠিক থাকে। আমাদের রয়েছে নিজস্ব আরএনডি টিম, যারা পণ্যের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ও মানোন্নয়নে সদা তৎপর।

আপনাদের বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে বলবেন?

আমরা রেফ্রিজারেটরে ১০ বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছি। সাধারণত রেফ্রিজারেটর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ৭-১০ শতাংশ ত্রুটি থাকে। কিন্তু যমুনা বাংলাদেশের একমাত্র রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড, যার উৎপাদন ত্রুটি ১ শতাংশের নিচে। এর পরও ক্রয়-পরবর্তী সমস্যা সমাধানে দেশব্যাপী আমাদের বিস্তৃত সার্ভিস সেন্টার রয়েছে।

যমুনা তার বিপণন নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনেক সচেতনভাবে কাজ করছে। এ ব্যাপারে জানাবেন?

পরিবেশক নেটওয়ার্কের স্থায়িত্ব খুবই কম। পরিবেশক ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে ব্যবসা দাঁড় করানো ও সম্প্রসারণের আগেই নিজেদের গুটিয়ে নেন। একমাত্র যমুনা ইলেকট্রনিকস পরিবেশকদের প্রশিক্ষণ, দক্ষ জনবল প্রদান, সুষ্ঠু ব্যবসায়িক কাঠামো গড়ে দেয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য আরো সাপোর্ট দেয়ার মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক অগ্রযাত্রার সঙ্গী হয়েছে।

ডলারের উচ্চ মূল্য ও গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে উৎপাদন খাত চাপে আছে। ফ্রিজের দামের ক্ষেত্রে এ পরিস্থিতি কোনো প্রভাব ফেলেছে কি?

ডলার সংকট ও বিনিময় হার বৃদ্ধির ফলে পণ্য উৎপাদনে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পরিবহন ব্যয়সহ অন্যান্য খাতে উৎপাদন খরচ বহুগুণ বেড়েছে। পরিবর্তিত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও আমরা পণ্যের দাম না বাড়িয়ে ক্রেতাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা পণ্যটি তুলে দিচ্ছি।

সামনেই ঈদুল আজহা। ক্রেতারা নানা ধরনের ফ্রিজ কেনেন এ সময়টাতে। ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের কোনো বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন কি?

ভোক্তাদের চাহিদা, সন্তুষ্টি ও বিক্রয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা ‘ডাবল খুশি অফার’ নামে কনজিউমার প্রমোশন চালু করেছি, যার আওতায় ক্রেতারা যমুনা রেফ্রিজারেটরসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিকস পণ্য কিনলে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় পেতে পারেন। এছাড়া পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, এসি, হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ অসংখ্য পুরস্কার জিতে নেয়ার সুযোগ থাকছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন