যুক্তরাজ্যের কভিডজনিত বিধিনিষেধ ২১ জুন তুলে দেয়ার কথা ছিল।
কিন্তু এক সপ্তাহ আগে এসে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হচ্ছে।
কভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হওয়ার প্রক্রিয়াকে চার সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এর অর্থ নাইট ক্লাবগুলো বন্ধ থাকবে এবং লোকদের বাসা থেকে কাজ করতে উৎসাহিত করা হবে।
খবর বিবিসি।
বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা দিতে পারেন।
বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে এ মাসেই হাউজ অব কমন্সে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে।
এ সিদ্ধান্ত কনজারভেটিভ দলের বিরোধিতার মুখে পড়তে পারে।
সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী চার ধাপে লকডাউন থেকে বের হতে সব আইনি সীমাবদ্ধতা পর্যালোচনা করা হবে।
তবে অনেক বিজ্ঞানী কভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের (ভারতীয় ধরন) ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের মধ্যে আরো বেশি লোককে টিকা দেয়া এবং দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
গত রোববার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার বিষয়ে আরো বিলম্ব করা উচিত কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
পুরো স্কটল্যান্ডে ২৮ জুন থেকে কভিডজনিত বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার কথা রয়েছে।
এর অর্থ, ক্যাফে, পাব ও রেস্তোরাঁগুলোয় অনেক মানুষ একসঙ্গে জড়ো হতে পারে।
যদিও তাদের সামাজিক দূরত্ব পালন করতে হবে।
উত্তর আয়ারল্যান্ডে অভ্যন্তরীণ পরিবেশে জনসমাগমের সীমা ২১ জুন শিথিল করা হবে।
পাশাপাশি ওয়েলসের বর্তমান বিধিনিষেধও পর্যালোচনা করার কথা রয়েছে।
কনজারভেটিভ দলের সাবেক মন্ত্রী ড্যামিয়ান গ্রিন বলেন, আমি মনে করি যদি এটা এক মাসের মতো দীর্ঘ হয়, তবে দুই বা তিন সপ্তাহ পরে একটি বিরতি নেয়া উচিত।
আমরা যদি ততক্ষণে বলতে পারি, সংক্রমণের বৃদ্ধি গুরুতর পরিস্থিতির দিকে পরিচালিত করে না, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমরা বিধিনিষেধ তুলে দিতে পারি।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ডমিনিক রাব বলেন, বর্তমানের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তির যোগসূত্র কেটে গেছে কিনা, তার ওপর বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে।
রোডম্যাপের চার ধাপে ভেনু ও ইভেন্টগুলো কোনো ধরনের সীমাবদ্ধ ছাড়াই খুলে দেয়া হবে এবং বিবাহ অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতাও তুলে দেয়া হবে।
এমনকি এ বিধিনিষেধ অপসারণ করা হলেও মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্বের নিয়ম অব্যাহত থাকবে।