পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস আজ

২৯ কারখানা পাচ্ছে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস’ আজ। কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিধিবিধান পালনকে সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ২০০৩ সাল থেকেই দিবসটি পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের সব শ্রমঘন এলাকায় যৌথভাবে প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। একই সঙ্গে ২৯টি কারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড। গতকাল রাজধানীর বিজয়নগরের শ্রমভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ; গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ বছর নবমবারের মতো দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ৩১টি উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ের অধিক্ষেত্রে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা এবং অন্য জেলাগুলোয় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দিবসটি পালন করা হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

দিবস পালন উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর খামারবাড়ি থেকে শোভাযাত্রা বের করা হবে। পরে বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দিবসটি উপলক্ষে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড নীতিমালা-২০২০-এর আওতায় ১২টি খাতের ২৯টি কারখানা বা প্রতিষ্ঠানকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ দেয়া হবে। ১২টি সেক্টর হলো তৈরি পোশাক (ওভেন), তৈরি পোশাক (নিট), টেক্সটাইল, চা, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, চামড়া (ফিনিশড গুডস), চামড়া (ট্যানারি), ফার্মাসিউটিক্যালস, টাইলস অ্যান্ড সিরামিক, ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক পণ্য প্রস্তুতকারক, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ। বিজয়ী কারখানা ও প্রতিষ্ঠানগুলো পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ টাকা, একটি ক্রেস্ট, একটি মেডেল এবং একটি সার্টিফিকেট পাবে।

গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ডের জন্য প্লাস্টিক সেক্টরে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস লিমিটেড, চা সেক্টরে মির্জাপুর চা বাগান, চাতলাপুর চা কারখানা, জেরিন চা বাগান এবং গাজীপুর চা বাগান। চামড়া (ফিনিশড গুডস) সেক্টরে বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লি., এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড এবং এফবি ফুটওয়্যার চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে।

চামড়া (ট্যানারি) সেক্টরে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, সিমেন্ট সেক্টরে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড এবং হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড। ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। টাইলস অ্যান্ড সিরামিক সেক্টরে শাইনপুকুর সিরামিকস। ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক পণ্য প্রস্তুতকারক সেক্টরে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সেক্টরে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে।

তৈরি পোশাক (ওভেন) সেক্টরে এআর জিনস প্রডিউসার, মাহমুদা অ্যাটার্স লিমিটেড, ইভিটেক্স ড্রেস শার্ট লিমিটেড, ডিজাইনার ফ্যাশন লিমিটেড এবং সাউদার্ন গার্মেন্টস চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে। তৈরি পোশাক (নিট) সেক্টরে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে পাকিজা নিট কম্পোজিট লিমিটেড, ইপিলিয়ন নিটওয়্যারস লিমিটেড, লায়লা স্টাইল লি., জিএমএস টেক্সটাইল লিমিটেড, জেনেসিস ফ্যাশনস লিমিটেড, কড্ডা নান্দুন ও অকো টেক্স লি.। আর টেক্সটাইল সেক্টরে ফোর এইচ ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড, এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড এবং পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলস চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. আবদুর রহিম খান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন