দিনভর ভোগান্তির পর চট্টগ্রামে গণপরিবহন ধর্মঘট স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে গতকাল পরিবহন সংকটে ভোগান্তিতে নগরবাসী ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

দিনভর ভোগান্তির পর বৃহত্তর চট্টগ্রামে গণপরিবহন ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। ঘোষণার পর পরই গতকাল সন্ধ্যায় নগরীজুড়ে শুরু হয় যানবাহন চলাচল। বাস পুড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদসহ চার দফা দাবিতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ ধর্মঘটের ডাকা দেয়।

বিকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বৈঠক হয়। এ সময় কাপ্তাই সড়কে জেলা প্রশাসন নিরাপত্তা দিয়ে গাড়ি চালানোর আশ্বাস দিলে ধর্মঘট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের অনুরোধে আমরা চলমান ধর্মঘট স্থগিত করেছি। যদি আমাদের গাড়ি কোনো রকম হামলার শিকার হয়, তাহলে আবারো চলমান ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব। আমরা দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় মর্মাহত। সেজন্য শিক্ষার্থীরা সড়কটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি সমাধানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সার্কিট হাউজে একটি সভা আয়োজন করেন। শিক্ষার্থীদের যে দাবি ছিল সেগুলো আমরা মেনে নিয়েছিলাম।’

এদিকে ভোর থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটের কারণে দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী। সড়কে যানবাহন চলাচল না থাকায় হেঁটে অফিসে গেছেন চাকরিজীবীরা। বাড়তি ভাড়াও দিতে হয়েছে। সাধারণ যানবাহন চলাচল না করায় বাড়তি ভাড়া দাবি করতে দেখা গেছে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের। বহদ্দারহাটে শ্রমিকেরা গাড়ি ভাংচুর করেন। এ সময় শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

গত সোমবার মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা (২২) ও দ্বিতীয় বর্ষের তৌফিক হোসাইন (২১) নিহত হন। আহত হন আরেক শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু (২১)। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরো দুটি বাস ভাংচুর করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন