চট্টগ্রামে এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

সংগৃহীত

সোমালিয়া জলদস্যুদের হাতে অপহত হওয়া কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছেন। প্রায় ৬৪ দিনের শ্বাসরুদ্ধকর যাত্রা শেষ করে মঙ্গলবার ( ১৪ মে)  চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ১ জেটিতে এসে পৌঁছান তারা।


এসআর শিপিং এর সিইও মেহেরুল করিম বণিক বার্তাকে বলেন, সোমালিয়া জলদস্যুদের হাত থেকে এমভি আবদুল্লাহর এর ২৩ জন নাবিককে উদ্ধার করাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। তারা অপহৃত হওয়ার পরপরই আমরা জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের উদ্ধার করতে পেরে আমরা খুবই অনিন্দিত।  

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, কালে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া ২৩ নাবিক এমভি আবদুল্লাহের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর সকল কার্যক্রম শেষ করে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকরা এমভি জাহান মনি-৩  লাইটারেজ জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নাম্বার জেটিতে প্রবেশ করেছেন। পরিবারের কাছে নাবিকদের পৌঁছে দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।


এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকে ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদের মা জ্যোৎস্না বেগম বণিক বার্তাকে জানান, আমার ছেলে যে সুস্থ ভাবে দেশে ফিরেছে তাতেই আমি খুশী। অনেক উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে দিয়ে কিভাবে একেকটা দিন পার করেছি সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। 

মোহাম্মদ নুর উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বণিক বার্তাকে বলেন, আমার স্বামী দেশে ফিরে এসেছেন এইটার জন্য আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া জানাই। আমর স্বামী যে ফিরে আসবেন এইটা নিয়েই দুই মাস কাটিয়েছি। যেদিন আমি জানতে পারি যে তিনি জলদস্যুদের হাতে অপহৃত হয়েছেন, সেদিন থেকে কিভাবে একেকটা দিন কাটিয়েছি সেটা আল্লাহ বলতে পারবেন। আমি কেএসআরএম ছাড়াও আরো যারা এমভি আবদুল্লাহের নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন