২০৪০ সাল

বিশ্বে অবকাঠামো খাতে ঘাটতি দাঁড়াবে ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বে অবকাঠামো খাতে টেকসই উন্নয়নের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তবে সে অনুপাতে অর্থের জোগান নিয়ে সংশয় রয়েছে খাতসংশ্লিষ্টদের একটি অংশে। সম্প্রতি ধরনের মন্তব্য করেন ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) গ্রুপের প্রধান মোহাম্মদ আল জাসের। তিনি জানান, খাতে বিশ্বব্যাপী ঘাটতি ২০৪০ সাল নাগাদ ১৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে। খবর আনাদোলু।

আল জাসের বলেন, ‘আগামী বিশ্বের জন্য দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন টেকসই অবকাঠামো প্রকল্প দরকার। কারণ বিশ্বব্যাপী অবকাঠামোগত অর্থায়নের ব্যবধান ২০৪০ সালের মধ্যে প্রায় ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সম্প্রতি আইডিবির বার্ষিক সভা সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মোহাম্মদ আল জাসের বলেন, ‘টেকসই অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অর্থায়নে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন।

তার ভাষ্যে, ‘অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রথাগত পাবলিক ফাইন্যান্সিং মেকানিজমগুলো। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল জোগাড় করতে বিশ্বে একটি নতুন পদ্ধতির প্রয়োজন।

নতুন পদ্ধতি হিসেবে ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার উল্লেখ করে আল জাসের বলেন, ‘এখানেই ইসলামিক ফাইন্যান্স আলোর রশ্মি হিসেবে আবির্ভূত হয়। এর সম্পদভিত্তিক ঝুঁকি ভাগাভাগি-সংক্রান্ত নীতিগুলো দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর চাহিদার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।

তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামিক ফাইন্যান্স পরিবেশগত দায়বদ্ধতার ওপর জোর দিয়ে প্রচেষ্টাগুলোকে সমর্থন করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

পাঁচ দশক ধরে আইডিবি ইসলামিক ফাইন্যান্সকে চ্যাম্পিয়ন অবস্থানে নিয়ে এসেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আইডিবি প্রধান বলেন, ‘আমাদের কৌশল হলো দৃঢ় অংশীদারত্ব গড়ে তোলা, আর্থিক বাজারকে উৎসাহিত করা এবং বেসরকারি খাতের ক্ষমতায়নে জোর দেয়া।

তিনি বলেন, ‘পৃথিবী এখন একটি পরিবর্তনের প্রান্তে দাঁড়িয়ে। সাম্প্রতিক কভিড-১৯ মহামারী অবকাঠামোর দুর্বলতা উন্মোচন করেছে, জনসম্পদ নষ্ট করছে উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর এক-তৃতীয়াংশ এখন প্রাক-মহামারীর চেয়েও খারাপ অবস্থায়। অবিলম্বে পদক্ষেপ না নিলে এসব দেশের উন্নয়নের সম্ভাবনা আরো খারাপ দিকে যেতে পারে।

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যেই অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে বলে জানান মোহাম্মদ আল জাসের। তিনি বলেন, ‘সামাজিক ভৌত অবকাঠামোয় বিনিয়োগ বাড়ানো মূলত দারিদ্র্য হ্রাস, স্বাস্থ্য শিক্ষার প্রসার এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির চাবিকাঠি।এছাড়া মহামারী জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ভবিষ্যতের ধাক্কাগুলোর বিরুদ্ধেওএটি শক্তিশালী স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন