৩ মে আসছে সোহেল-নীলা অভিনীত শ্যামা কাব্য

ফিচার প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

বদরুল আনাম সৌদের সিনেমা ‘শ্যামা কাব্য’। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। প্রায় ছয় বছর পর নতুন সিনেমা নিয়ে আসছেন নির্মাতা। শ্যামা কাব্য মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর। নানা কারণে মুক্তি পায়নি। অবশেষে এটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ৩ মে। প্রেক্ষাগৃহে আসছে সিনেমাটি। এতে কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। 

সরকারি অনুদানে নির্মিত শ্যামা কাব্য পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন সৌদ নিজেই। প্রযোজনা করেছেন সুবর্ণা মুস্তাফা ও বদরুল আনাম সৌদ। সিনেমাটি নিয়ে সৌদ আশাবাদী। তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘নতুন ধাঁচের গল্প উঠে আসবে এতে। দর্শকরা এ জনরার গল্প আগে দেখেনি। তাই প্রেক্ষাগৃহে এলে এ ধরনের নতুন গল্প সাফল্য পাবে।’ শ্যামা কাব্য সিনেমা প্রসঙ্গে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘বদরুল আনাম সৌদের প্রতি আমার আস্থা আছে। নির্মাতা হিসেবে তার নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য আছে। সিনেমাটি দেখার অপেক্ষায় আছি। আশা করছি, দর্শকরাও ভালো একটি সিনেমার পাশে থাকবে। চলচ্চিত্র শিল্পকে ভালোবাসবে।’

সিনেমার গল্প সম্পর্কে সোহেল মণ্ডল বলেন, ‘শ্যামা কাব্য একটা সাইকোলজিক্যাল ড্রামা। আজাদ আর শ্যামার গল্প। ব্রোকেন ফ্যামিলির ছেলে আজাদের ছোটবেলার ট্রমা থেকে সাইকোলজিক্যাল ইস্যু দেখা দেয়। সেখান থেকে আজাদ যখন বড় হয়, তখন তার প্রেম ও দাম্পত্য সম্পর্কেও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এ ঘটনাপ্রবাহেই শ্যামাকে দেখা যায়। শ্যামার সঙ্গে আজাদের পরিচয় হয়। এভাবেই গল্পের কাহিনী সামনের দিকে আগায়।’

সিনেমায় নিজের চরিত্র নিয়ে সোহেল মণ্ডল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমি আজাদ চরিত্রটা করছি। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় বাবাই ছিল তার একমাত্র অবলম্বন। বাবার নিঃসঙ্গতা তাকেও প্রভাবিত করে। বড় হওয়ার পর তারও প্রেম-বিয়ে টেকেনি। সেটাও তাকে বিষণ্ণতার দিকে ঠেলে দেয়। যেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে থাকে। সেখান থেকে তার একটা সাইকোলজিক্যাল ট্রমা তৈরি হয়।’

এ সিনেমার নায়িকা নীলাঞ্জনা নীলা। শ্যামা কাব্য সিনেমায় যুক্ত হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্যামা কাব্যের স্ক্রিপ্ট আমি পেয়েছিলাম শুটিং শুরু হওয়ারও দুই বছর আগে। আমি শ্যামা চরিত্রের জন্য স্ক্রিন টেস্টও দিয়েছি। কিন্তু তিনি চাচ্ছিলেন শ্যামা কাব্যের শ্যামা চরিত্রটা একটু শ্যামবর্ণের কেউ করুক। তাই আমাকে আর নেয়া হলো না। শুটিং শুরু হওয়ার দুদিন পর আমাকে ফোন করে শ্যামা চরিত্রটির জন্য ডাকা হলো। আমি সেদিন আকাশ থেকে পড়েছিলাম বলতে গেলে! 

শ্যামা কাব্যের স্ক্রিপ্ট যখন পড়েছিলাম, তখনই শ্যামা চরিত্রটা করতে খুব ইচ্ছে করেছিল আমার। একটা ভালোবাসা জন্মে গিয়েছিল চরিত্রটার প্রতি। কারণ এ রকম চরিত্র আমার আগে কখনো করা হয়নি। শ্যামা চরিত্রটি খুবই শক্তিশালী একটি চরিত্র। চরিত্রটি তার অনুভূতিগুলো খুবই সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে পারে। সে খুব বেশি কথা বলে না, কিন্তু সুন্দর ভাষায় কথা বলে। সে এত সুন্দর করে কথা বলে যে দশটা মানুষ তার কথা শুনতে চাইবে। মোট কথা শ্যামা চরিত্রটি একটি ভালোবাসা জন্মানোর মতো চরিত্র।’

সিনেমাটির শুটিং করতে এর টিমের সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছেন নীলা। এ অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘সিনেমার পুরো টিম আমাকে খুব হেল্প করছে। সূবর্ণা ম্যামও আমাকে খুব হেল্প করেছে। সবার সাহায্যের কারণেই আমি শেষ পর্যন্ত চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। দর্শকদের ভালো লাগবে চরিত্রটা।’ 

নানা জটিলতার পর সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। এ নিয়ে সোহেল মণ্ডল বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। কারণ সিনেমা করে আমরা সেটার মুক্তির অপেক্ষায় বসে থাকি। আর হলে গিয়েই একটা সিনেমা পূর্ণতা পায়। আমরা ২০২২ সালে সরকারি অনুদানে সিনেমাটা করেছিলাম। অবশেষে এটি হলে আসছে। এটা বলে বোঝানো যাবে না যে কতটা ভালো লাগছে! আর সিনেমা বানানোই হয় দর্শকদের বিনোদন দেয়ার জন্য। সেটা সিনেমা হলে এলে, দর্শক দেখে আলোচনা-সমালোচনা করলে সেটাই আমাদের জন্য বিশাল আনন্দের।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন