ছবি : সংগৃহীত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত যাত্রীবাহী বিশেষ ট্রেনের সার্ভিস চলাচল আগামী ২০ মে পর্যন্ত
বর্ধিত করা হয়েছে। যাত্রীদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ট্রেনটির সময় বাড়িয়েছে রেলওয়ে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ বিশেষ ট্রেন
সার্ভিসটি চালু করেছিল রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে বিশেষ ট্রেনের সময় বর্ধিত করার অফিস আদেশ জারি করা হয়। ৮ এপ্রিল এই ট্রেনের চলাচল শুরু হয়। কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন সার্ভিস শুরুর পর সবগুলো ট্রেনই ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করলেও বিশেষ এই ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে যাত্রী পরিবহন করায় চাহিদাও বেশি। এ কারণে কক্সবাজার স্টেশন মাস্টারের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২০ মে পর্যন্ত ৯ নম্বর স্পেশাল ট্রেনটির সার্ভিস বর্ধিত করা হয়েছে।
শুরুতে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাত্রী পরিবহনের পরিকল্পনা থাকলেও সমালোচনার মুখে চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য দুটি কোচ বরাদ্দ রাখা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১ ডিসেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার প্রথম যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ এবং চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে একই সুবিধাসংবলিত দ্বিতীয় আন্তঃনগর ট্রেন ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ চালু করে রেলওয়ে। দুটি ট্রেনেই চট্টগ্রামের জন্য নন-এসি চেয়ার ৬০টি ও এসি চেয়ার ৫৫টি আসন বরাদ্দ ছিল। সর্বশেষ ঈদুল ফিতরের সময় স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে ট্রেন সার্ভিস চালু হলে যাত্রীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা পায় ট্রেনটি।
সার্ভিস চালুর পর চট্টগ্রামের জন্য কোনো ট্রেন চালু না করায় যাত্রীদের ক্ষোভ ছিল। ঈদের পর ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনটি যাত্রী পরিবহনের কথা থাকলেও পরে যাত্রী চাহিদার কারণে সেটি বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এখন নতুন করে সার্ভিসটি আরো বাড়িয়ে ২০ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক মো. শওকত জামিল মোহসী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে বিশেষ ট্রেনটি আগামী ২০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। তবে এ সময়ের মধ্যে আগামী ৩ ও ৪, ১০ ও ১১, ১৭ ও ১৮ মে (মোট ছয়দিন) বিশেষ ট্রেনটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী তাদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের বিশেষ ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টায় ছেড়ে কক্সবাজারে পৌঁছায় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা ৭টায় ছেড়ে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছে রাত ১০টায়। যাত্রাপথে ট্রেনটি ষোলশহর, জালালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। মোট ১০টি বগিতে ট্রেনটিতে আসন রয়েছে ৪৩৮টি। বিশেষ ট্রেনের শোভন শ্রেণী আসনের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ৪৫ টাকা, প্রথম শ্রেণী আসনের সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮৫ টাকা। তবে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি ভাড়া যথাক্রমে যথাক্রমে ১৮৫ ও ৩৪০ টাকা।
