বেতনের জন্য প্রধান নির্বাহীকে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিল ইউনিলিভার

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই গত বছর শুরু হয়েছে গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ। এর বাইরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্থানীয় পর্যায়ে চলছে নানা সংঘাত। ভূরাজনৈতিক কারণে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞাসহ আমদানি-রফতানিতে রয়েছে নানা রকম বিধিনিষেধ। এরই প্রভাব পড়েছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মুনাফার ওপর। কোম্পানিগুলো ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি নানা রকম কৃচ্ছ্রতার পথ বেছে নিচ্ছে। সম্প্রতি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) বেতনের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে ব্রিটিশ বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

ডাচ ব্যবসায়ী হাইন শুমাখার ইউনিলিভারে সিইও হিসেবে যোগ দিয়েছেন গত বছরের জুলাইয়ে। সংস্থাটি ঘোষণা করেছে, প্রতিষ্ঠানটি থেকে তিনি সর্বোচ্চ ১ কোটি ৭৪ লাখ ইউরো বেতন নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারলে তিনি এ পরিমাণ বেতন পাবেন। তবে বেতন কমানোর জন্য শেয়ারহোল্ডাররা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেন। যদিও প্রথম ছয় মাসের জন্য নতুন সিইও ৩৯ লাখ ইউরো বেতন নিয়েছেন।

সম্প্রতি প্রকাশিত ইউনিলিভারের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, সিইওর মূল বেতন-ভাতা ১৪ লাখ ইউরো। এর ভিত্তিতে বছরে তিনি বোনাস বাবদ পাবেন ১৮ লাখ ৬০ হাজার ইউরো। প্রথম ছয় মাসে তিনি সব মিলিয়ে তার বাড়ি নিয়ে যেতে পেরেছেন ৩৯ লাখ ইউরো। এর মধ্যে ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৯২ ইউরো যুক্তরাজ্যে তার আবাস স্থানান্তরের জন্য দেয়া হয়েছে।

এর আগে তিনি ডাচ ডেইরি কো-অপারেটিভ ফ্রাইজল্যান্ডক্যাম্পিনায় কাজ করতেন। প্রতিষ্ঠানটি তাকে দীর্ঘমেয়াদি বোনাসের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৬ লাখ ৪৮ হাজার ইউরো দিয়েছে।

হাইন শুমাখার আরো বেশি আয় করতে পারতেন। ইউনিলিভারের অন্যান্য নির্বাহীর সঙ্গে গ্রুপের ক্ষতিপূরণ কমিটি তার বার্ষিক বোনাসকে বেতনের ১৫০ শতাংশ থেকে নামিয়ে ১১৫ শতাংশে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা গত বছর ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পর বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল।

ক্ষতিপূরণ কমিটির চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়া ইয়ং বলেন, ‘সিইওর বোনাস পরিবর্তন করা হয়েছে। কারণ প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহক্ষমতা আগে শক্তিশালী ছিল। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের ব্যবসায় আরো উন্নতি করতে হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন