মুক্তিযুদ্ধের ছবিটি ফিরে এল চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে

মোজাব্বীর হাসান

ছবি: অমিয় তরফদার (১৯৭১), ছবি: সালাহউদ্দিন রাজু (২০২৪), ছবি: জীবন আহমেদ (২০২৪)

প্রথম ছবি: স্মৃতিদৃশ্য ১৯৭১

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। ইতিহাসের কালরাত। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অতর্কিতে আক্রমণ চালায় ঢাকায়। তারা তার নাম দেয় ‘অপারেশন সার্চলাইট‌‌’। সেই রাতে মুহুর্মুহু গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ঢাকার অলিগলি রাজপথ। মানুষের বাড়িঘরে দেয়া হয় আগুন। আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলে ওঠে ঢাকার আকাশ। এক রাতেই হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। গ্রেফতার করা হয় আরো কয়েক হাজার মানুষকে। মূলত সে রাতেই শুরু হয়ে যায় এক অসম যুদ্ধ। সশস্ত্র পশ্চিম পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের বাঁচা-মরার লড়াই। স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য যুদ্ধ। পর্যায়ক্রমে পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা বাড়িয়ে চলল গণহত্যা। জ্বালিয়ে দিতে শুরু করল নিরস্ত্র বাঙালির ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট। হত্যা, লুট আর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে থাকল পূর্ব পাকিস্তান। দেশের রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকল পাকিস্তানি বাহিনীর রাইফেল-বেয়নেটে ক্ষত-বিক্ষত মানুষের লাশ আর লাশ। লাশের মিছিলে সয়লাব হয়ে উঠল বাংলাদেশ।

মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সপ্তাহ দুয়েক পর ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল একটি ছবি ছাপা হয় ভারতের ইংরেজি জাতীয় দৈনিক দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকায়। মুক্তিযুদ্ধের আইকনিক ও ঐতিহাসিক এক ছবি। পশ্চিম পাকিস্তানি সেনা ও তার এখানকার দোসর রাজাকারদের চালানো হত্যাযজ্ঞের এক প্রামাণ্য ছবি। হৃদয়বিদারী এক দৃশ্যচিত্র। যে ছবি ৫৩ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও বইপত্রে ছাপা হচ্ছে। 

ছবিটিতে দেখা যায়, পাশাপাশি দুটো রিকশা। একটি রিকশার পাদানিতে আড়াআড়িভাবে এপাশ-ওপাশ হাত-পা ঝুলে পড়ে আছে একটি মৃতদেহ। শ্মশ্রুমণ্ডিত এক তরুণের মরদেহ। অন্য রিকশায়ও একইভাবে মরে পড়ে আছে এক তরুণ। ওই তরুণের লাশের ওপর পড়ে আছে আরো এক তরুণের লাশ। হয়তো কিছু আগেই তারা নিহত হয়েছেন পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে।

স্টেটসম্যান পত্রিকায় ছাপা ছবিটি তুলেছিলেন কলকাতার আলোকচিত্র সাংবাদিক অমিয় তরফদার। ছবির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ছবিটি তোলা হয়েছিল দিনাজপুরের সৈয়দপুরের কোনো এক সড়ক থেকে।

দ্বিতীয় ছবি: দৃশ্যপট ২০২৪

তারিখটা এখনো খুব তাজা। ৪ আগস্ট ২০২৪। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নিয়েছে সরকার পতনের আন্দোলনে। নয় দফার আন্দোলন চলে এসেছে এক দফায়। সরকার সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছে। অনির্দিষ্টকালের কারফিউ চলছে। কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে আসছে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা। চারপাশে কাঁদানে গ্যাসের শেলের ঝাঁজ। সাউন্ড গ্রেনেড আর গুলিতে প্রকম্পিত ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রের একটি এলাকা ফার্মগেট। ফার্মগেটের কালো পিচের রাস্তায় একটি রিকশা। রিকশার সিটে বসা চালক। পাদানিতে আড়াআড়িভাবে পড়ে আছে এক তরুণ। পরনে নীল টি-শার্ট। আকাশের দিকে মুখ। চোখ বন্ধ। কপালে বাঁধা স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকার ফিতা। হয়তো তরুণটি গুলিবিদ্ধ। হয়তো তরুণটি বেঁচে আছে। নাকি পরিণত হয়ে গেছে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত লাশের সংখ্যায়? ছবিটি দেখে আমরা তা বুঝতে পারি না। তবে পত্রিকায় ছাপা ক্যাপশন দেখে আমরা বুঝতে পারি, গুলিবিদ্ধ তরুণটি তখনো বেঁচে ছিলেন। 

৫ আগস্ট ওপরের দৃশ্যকল্পের ছবি ছাপা হয়েছে ঢাকার দু-তিনটি পত্রিকায়। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় ছাপা হওয়া ছবিটি তুলেছেন আলোকচিত্র সাংবাদিক জীবন আহমেদ। জীবনের তোলা ছবিটির ফ্রেম ঠিক ১৯৭১ সালের ছবিটির মতো। ক্লোজ শট। যেনবা রিকশায় আড়াআড়িভাবে পড়ে থাকা একাত্তরের রিকশায় লাশের ছবিটিরই প্রতিরূপ। পার্থক্য এতটুকুই, একাত্তরের ছবিতে রিকশাওয়ালা ও যাত্রী, উভয়েই নিহত। আর চব্বিশের ছবিটিতে রিকশাচালক জীবিত। প্রতীকী অর্থে যেনবা ছবিটি আমাদের পরিহাস করে বলছে, স্বাধীন দেশ যেহেতু, আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধের লাশ নিয়ে যাওয়ার অধিকারটুকু অন্তত তোমাদের আছে। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে ছাপা হওয়া ছবিটা একই, তবে এতটা ক্লোজ নয়। একটু দূরের শট।

অন্যদিকে বণিক বার্তায় ছাপা হওয়া কাজী সালাউদ্দিন রাজুর তোলা ছবিটি আরেকটু বড় ফ্রেমের। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে গুলিবিদ্ধ তরুণকে বহন করা রিকশাটি হাতে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন চালক। চালকের আশপাশে দেখা যাচ্ছে বেশকিছু পুলিশ। ওয়াকিটকি হাতে পুলিশ অফিসারটি হাতের আঙুল উঁচিয়ে সোজা একটি দিক দেখাচ্ছেন। অন্য পুলিশগুলো অফিসারটির দিকনির্দেশিত আঙুলের দিকে তাকিয়ে আছেন। ছবি দেখে যা বোঝা যাচ্ছে, হয়তো তিনি বলছেন, ভাগো! এখনি এদিক দিয়ে একে নিয়ে জলদি যাও! না হলে বেটা তোকেও এখন গুলি করে মারব!

আমরা পরে, ১২ আগস্ট ২০২৪, প্রথম আলোয় প্রকাশিত মানসুরা হোসাইনের এক প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, গুলিবিদ্ধ তরুণের নাম গোলাম নাফিজ। সে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে পাস করে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিল। পরিবারসহ থাকত মহাখালীতে। দুই ভাই তারা। নাফিজ ছোট। আন্দোলন করতে গিয়ে ৪ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ফার্মগেটের ওভারব্রিজের নিচে নাফিজ গুলিবিদ্ধ হয়।

নূর মোহাম্মদ নামের এক রিকশাচালক তাকে নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেটের একটি হাসপাতালে ঢুকতে গেলে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বাধা দেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক। পরে ১৭ বছরের গোলাম নাফিজকে নিয়ে রিকশাচালক খামারবাড়ির দিকে চলে যান। স্পটে উপস্থিত দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ ও বণিক বার্তা পত্রিকার কাজী সালাউদ্দিন রাজু পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাধার পরও রিকশার পাদানিতে ঝুলতে থাকা নাফিজের কয়েকটি ছবি তুলতে পেরেছিলেন।

মানবজমিন পত্রিকাটির প্রথম পাতায় ছাপা হওয়া নাফিজের ছবি ওই রাতেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ছবি দেখেই নাফিজের মা-বাবা সন্তানের খোঁজ পান। নাফিজের লাশ তারা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে নিয়ে আসেন।


অভ্যুত্থানের বিশাল ক্যানভাস নিয়ে কাঠপেন্সিলে লেখা দু-এক কথা

এর আগের ঘটনা তো আমাদের সবারই জানা। কীভাবে ২০১৮ সালে জন্ম নেয়া সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন আদালত-সরকার ইঁদুর-বিড়াল খেলা শেষে চব্বিশের জুলাইয়ে এসে দারুণ গতি পায়। সেসব তো আমাদের চোখের সামনে এখনো জ্বলজ্বলে তারা হয়ে ফুটছে।

১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে?’ বলে বসেন। প্রধানমন্ত্রীর এ অবিবেচক কথা শুনে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র স্লোগান উঠতে শুরু করে ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’।

এরপর প্রতিদিনই আন্দোলনের সলতে তৈরি হতে থাকে। নিরীহ ছাত্রদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায় সরকার। ছাত্রদের ওপর সরকারের পুলিশ বাহিনী ও ছাত্রলীগ সশস্ত্র হামলা করতে শুরু করে। ১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। আবু সাঈদসহ সারা দেশে কমপক্ষে ছয়জন নিহতের খবর পাওয়া যায়। পরদিন জ্বলে ওঠে সারা দেশ। সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারদলীয় সংগঠনের নৃশংস হামলা ও গুলিতে কমপক্ষে ২৮ জন নিহতের খবর পায় সংবাদপত্রগুলো। পরদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমপ্লিট শাটডাউনে নিহত হয় ৬০ জনের বেশি ছাত্র-জনতা। সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ। অনির্দিষ্টকালের কারফিউতে চলে দেশ। আন্দোলন থেকে নয় দফা ঘোষণা করা হয়। অন্য রকম এক বাংলাদেশের চেহারা দেখে বিশ্ব। এভাবে ঘাত-প্রতিঘাত আর রাজপথ দখলের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে জুলাই পেরিয়ে আগস্ট চলে আসে। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। পুলিশ ও ছাত্র-জনতা মুখোমুখি। পুলিশের গুলিতে প্রতিদিনই নিহত হচ্ছে অনেক মানুষ। ভয়ংকর এক বাংলাদেশের ছবি দেখা যায়। দানবিক আওয়ামী সরকারের নিপীড়ন, নির্যাতন ও কর্তৃত্ববাদী একনায়কতান্ত্রিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে সারা বাংলাদেশ। ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার লাখো মানুষের জমায়েত থেকে সরকার পতনের ডাক চলে আসে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সারা দেশ। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত লড়াই স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানলে রূপ নেয়। ৫ আগস্ট পুলিশের বুলেট মাড়িয়ে, কারফিউ ভেঙে লাখ লাখ ছাত্র-জনতার গণজোয়ার রূপ নেয় চূড়ান্ত অভ্যুত্থানে। পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ ভবন, গণভবন ইত্যাদি দখল করে বিজয় উৎসব শুরু করে সংগ্রামী ছাত্র-জনতা। নতুন প্রজন্ম একে স্বাধীনতার দ্বিতীয় বিজয় বলে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে।

এরই মধ্যে শিশু-কিশোর-তরুণ, নারী-পুরুষ, পুলিশ ইত্যাদি মিলিয়ে সারা দেশে পাঁচ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। হাজারো মানুষ গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে পড়ে থাকে। ছোট ধরনের আহত হয় আরো কয়েক হাজার মানুষ, যা ১৯৭১ সালের পর স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণক্ষয়ের ঘটনা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। এমনকি বিশ্ব-ইতিহাসেও এ ঘটনা বিরল। কোনো স্বাধীন দেশে, রাষ্ট্র কর্তৃক তার নিজের নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে এত বেশি প্রাণ কেড়ে নেয়ার ইতিহাস নজিরবিহীন।

দৃশ্য ও দৃশ্যান্তরের এসব ছবি ঠিক করুক ইতিহাসের সম্মুখগতি 

১৯৭১ সালে আমরা জীবন দিয়েছিলাম পরাধীন অবস্থা থেকে জাতীয় মুক্তির জন্য। স্বাধীন-সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। ২০২৪ সালে আমাদের ছাত্র-জনতা রক্ত দিল, লাশ হয়ে রাস্তায় পড়ে রইল সার্বিক অধিকার আদায়ের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে পাওয়া স্বাধীন দেশে নির্যাতন-নিপীড়ন ও বৈষম্য থেকে মুক্তি লাভ করার জন্য। ১৯৭১ সালে পাওয়া স্বাধীনতাকে পরিপূর্ণভাবে অর্থবহ করে তোলার জন্য।

তাহলে এই যে এক নতুন ইতিহাস লেখা হলো স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে, ১৯৭১ সালের দৃশ্যান্তরের ছবি চলে এল দৃশ্যপটে, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যুদ্ধের ছবি চলে এল স্বাধীন দেশে। স্বাধীন বাংলাদেশে এই যে গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ছবি তা কি আমাদের জন্য সত্যিকারের নতুন দিশা নিয়ে আসবে? নাকি আবারো ফিরে আসবে রক্ত, আবারো রাস্তায় পড়বে লাশ? অধিকারের প্রশ্নে আবারো ফিরে আসবে হত্যা ও লাশের এসব ছবি বা দৃশ্যচিত্র? এসব রক্ত-লাশের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা কি গড়ে তুলতে পারব একটি আধুনিক, উদারবাদী ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজ? নাকি এসব ছবি ভুলে গিয়ে আমরা ফিরে যাব সেই পুরনোতেই? তাই এখন আমাদের আরেকবার দেখার পালা।

তবে যেদিকেই আমরা অগ্রসর হই না কেন, এসব ছবি আমাদের পিছু ছাড়বে না। স্মৃতির নিউরনে আঘাত করবে। বারবার টেনে নিয়ে যাবে ইতিহাসের শিক্ষার দিকে। সেই শিক্ষা যদি আমরা মাথা ও হৃদয়ে ধারণ করতে পারি, তবে নিশ্চয়ই তা আমাদের ঠেলে নিয়ে যাবে অগ্রসরমাণ আগামীর দিকে। আমাদের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষা দৃশ্য ও দৃশ্যান্তরের এসব ছবি-ঠিক করে দিক আমাদের ইতিহাসের সম্মুখগতি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন