মালয়েশিয়ান পাম অয়েল রফতানিতে ৮ শতাংশ শুল্ক বহাল

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা

অপরিশোধিত পাম অয়েল রফতানিতে ৮ শতাংশ শুল্ক আগামী জুলাইয়েও বহাল রাখবে মালয়েশিয়া। সম্প্রতি নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির পাম অয়েল বোর্ড। খবর বিজনেস রেকর্ডার। 

বর্তমান আইন অনুসারে, মালয়েশিয়ায় প্রতি টন অপরিশোধিত পাম অয়েলের দাম ২ হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৪০০ ডলারের মধ্যে থাকলে ৩ শতাংশ রফতানি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। আর টনপ্রতি দাম ৩ হাজার ৪৫০ রিঙ্গিত ছাড়ালে শুল্ক পরিশোধ করতে হয় সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ। 

বিজ্ঞপ্তিতে জুলাইয়ে পাম অয়েলের রেফারেন্স মূল্য কমানোর তথ্যও দিয়েছে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল বোর্ড। এর আগে জুনে এ তেলবীজের রেফারেন্স মূল্য ছিল টনপ্রতি ৩ হাজার ৯৫৬ দশমিক শূন্য ৬ রিঙ্গিত। জুলাইয়ের জন্য তা কমিয়ে টনপ্রতি ৩ হাজার ৮৩৯ দশমিক ৬৩ রিঙ্গিত (৮১৪ ডলার ৩৪ সেন্ট) নির্ধারণ করা হয়েছে।

মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাম অয়েল রফতানিকারক। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় পাম অয়েলের। সরবরাহ ব্যবস্থা ভালো হওয়া ও প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য তেলের তুলনায় সাশ্রয়ী হওয়ায় ব্যবসায়ীদের কাছে এ তেলের কদর বেশি। 

এদিকে গত মে মাসে ভারতের পাম অয়েল আমদানি আগের মাসের তুলনায় ১১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে, যা চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যান্য ভোজ্যতেলের তুলনায় পাম অয়েলের দাম কম হওয়ায় আমদানি বাড়িয়েছে ভারত। গতকাল এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য সংস্থা সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এসইএ)। 

বিবৃতিতে এসইএ জানায়, ভারতের পাম অয়েল আমদানি মে মাসে বেড়ে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩০০ টনে দাঁড়িয়েছে, যা গত জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদ্ভিজ্জ তেল আমদানিকারক ভারত। তাই দেশটিতে আমদানি বাড়লে ফিউচার মার্কেটে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দামে এর প্রভাব পড়বে। 

অন্যদিকে মে মাসে ভারতের সূর্যমুখী তেল আমদানি ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২৭ টনে দাঁড়িয়েছে। এ সময় দেশটির মোট উদ্ভিজ্জ তেল আমদানি বেড়েছে ১৬ শতাংশ। একই সময়ে ভারত মোট ১৫ লাখ টন উদ্ভিজ্জ তেল আমদানি করেছে। 

অন্যদিকে মে মাসে ভারতের সয়াবিন আমদানি আগের মাসের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ কমেছে। এ সময় দেশটি মোট ৩ লাখ ২৪ হাজার ১৬ টন সয়াবিন আমদানি করেছে। শীর্ষস্থানীয় উৎপাদক আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে সরবরাহ কম হওয়ায় সম্প্রতি সয়াবিনের দাম বেড়েছে। তাই এ তেলবীজের আমদানি কমিয়েছে ভারত। 

ভারত প্রধানত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে পাম অয়েল আমদানি করে থাকে। আর আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানি করে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন