‘প্লাস্টিক ওয়েস্ট রিসাইক্লিং ফর সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: বিপিজিএমইএ

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘প্লাস্টিক ওয়েস্ট রিসাইক্লিং ফর সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে্।

বুধবার (৫ জুন) প্লাস্টিক প্রোডাক্ট বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (পিপিবিপিসি), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) যৌথ উদ্যোগে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।  

সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাহিদ আফরোজ, এফবিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমিন হিলালী।

সেমিনারে কীনোট উপস্থাপন করেন বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ড. কাজী বায়েজিদ কবীর। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো, সেলিম উদ্দিন বলেন, প্লাস্টিককে সাধারণ মানুষ পরিবেশের জন্য মেইন কালপ্রিট হিসেবে ধরে থাকে। কিন্তু এটা জীবনের একটা আবশ্যকীয় অঙ্গে পরিণত হয়েছে। এটাকে ইচ্ছা করলেই আপনি ফেলতে পারবেন না। আর ভবিষ্যতে এ শিল্প আরো বড় হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এটিকে কীভাবে পরিবেশের সঙ্গে আরো মানানসই করা যায় এবং এটাকে কীভাবে সর্বোত্তম উপায়ে ব্যবহার করা যায়। আজকে যেভাবে প্লাস্টিককে চিত্রিত করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে যদি আরো গবেষণা যুক্ত হয় বা নতুন নতুন ইনোভেশন যুক্ত হয় তখন প্লাস্টিককে অন্য নামে ডাকা হতে পারে। মানুষের গবেষণা বা উন্নয়নের ফলে অনেক কিছুর বৈশিষ্ট্য বদলে যায়।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্লাস্টিক আমাদের জীবনের সঙ্গে এতটাই জড়িয়ে গেছে যে সকাল থেকে রাত, যে বয়সের লোকই হোক- কোনো না কোনোভাবে এটা ব্যবহার করছে।  বিশ্বব্যাপী এটার শিল্প গড়ে উঠছে। কিন্তু আমাদের যে ৩০ শতাংশ রিসাইকেল হচ্ছে এটা একটি ভালো লক্ষণ। এর ব্যবহার আমরা আরো বাড়াতে পারি। কারণ রিইউজ, রিসাইক্লিং পৃথিবীর খুব জনপ্রিয় স্লোগান। তবে আমি মনে করি এটার একটা ইকোনমিক ভ্যালুও আছে। আজকে আমি যে পণ্যগুলো দেখলাম আমাদের দেশে এসব পণ্যের আরো ভ্যালু আছে। আমি একটা লম্বা সময় পাওয়ার সেক্টরে কাজ করেছি। সিটি করপোরেশনের ওয়েস্ট এনার্জিতে আমরা অনেক দেশী-বিদেশী প্রস্তাব শুনেছি। আমরা ১/২ টা প্রজেক্ট শুরু করেছিলাম। তবে গত এক বা দেড় বছরে আমার জানা নেই এটার কী রেজাল্ট এসেছে। যদি ওয়েস্ট এনার্জি করা যেত, তাহলে একসঙ্গে বড় পরিমাণ ওয়েস্টকে রিসাইকেল করতে সুবিধা হতো। এটা অনেক বড় একটা ইস্যু। আমরা যে পণ্যগুলো দেখলাম এগুলোতে যদি নতুন নতুন পণ্য যুক্ত করতে পারি, তাহলে রিসাইকেলের যে একটা বিরাট বাণিজ্যিক সম্ভাবনা আছে সেটা আয়ত্তে আনা যাবে। পাশাপাশি পানি, মাটির সঙ্গে মিশে যে দূষণ করত সেটা আরো মিনিমাইজ করা যেত।

সভায় আরো বলা হয়, বাংলাদেশে রিসাইক্লিং শিল্পের বিকাশ ঘটছে। এরই মধ্যে প্লাস্টিক খাতে বিভিন্ন রিসাইক্লিং কারখানা গড়ে উঠেছে। প্লাস্টিক খাতের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব আঙ্গিনায় রিসাইক্লিং প্লান্ট স্থাপন করে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। যার ফলে বর্তমানে প্রায় ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিং হচ্ছে। যা দ্রুত বাড়াতে হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রিসাইক্লিং দানা রফতানি করছে। অনদিকে রিসাইক্লিং কাঁচামাল দিয়ে পণ্য উৎপাদন করছে এবং রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। এছাড়া বক্তারা রিসাইক্লিং শিল্পকে গতিশীল করতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা এবং একযোগে কার্যক্রম পরিচালনার ওপর জোর দেন।

সেমিনারে রিসাইক্লিং পণ্য নিয়ে একটি বিশেষ শোকেসিংয়ের আয়োজন করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন