চট্টগ্রামে
ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে গ্রাহকের স্বর্ণালংকার গায়েবের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে
দাবি করছে কর্তৃপক্ষ। তাদের ভাষ্যমতে, ব্যাংক লকার থেকে এই ধরনের চুরির কোনো সুযোগ নেই।
বুধবার (২৯
মে) নগরীর চকবাজার শাখার লকার থেকে ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার গায়েবের অভিযোগ করেন এক
গ্রাহক। ঘটনাটি ওই দিন দুপুরে ঘটলে শনিবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়। অভিযোগে বলা
হয়,
গত বুধবার বেলা দেড়টার দিকে তিনি ওই ব্যাংকের লকার থেকে
কিছু স্বর্ণালংকার আনতে যান। এ সময় লকারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে
ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন, লকারটি আংশিক খোলা
অবস্থায় রয়েছে। ভেতরে ১০-১১ ভরি স্বর্ণ পাওয়া যায়। বাকি ১৪৯ ভরি স্বর্ণ গায়েব।
বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জানানো হয়।
এ বিষয়ে
ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার এসএভিপি ও শাখাপ্রধান এস এম শফিকুল মাওলা চৌধুরী
সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গ্রাহকের লকার
থেকে সঞ্চিত কোনো জিনিস ব্যাংকের দায়িত্বরত বা অন্য কারও মাধ্যমে চুরি কিংবা
ডাকাতি হওয়ার সুযোগ নেই। গ্রাহকের কাছে থাকা চাবি ছাড়া লকার খোলা যাবে না। একমাত্র
লকার সিস্টেম নষ্ট হওয়া ছাড়া কোনো জিনিস এখান থেকে সরানো যায় না। আমাদের লকার
সিস্টেম ঠিক ছিল। উনি (গ্রাহক) এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ কেন করছেন, তা উনিই বলতে পারবেন। এর আগে কখনো এ ধরনের অভিযোগ ওঠেনি।
তবে যেহেতু উনি অভিযোগ করেছেন, আমরা বিষয়টি
গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি আমাদের হেড অফিসকে জানিয়েছি। হেড অফিস এই
ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা রোববার ব্যাংক পরিদর্শনে এসেছেন।
প্রতিবেদন পেলে পরে বিষয়টি সম্পর্কে জানা যাবে।
ব্যাংকটির
শাখাপ্রধান বলেন, লকারের সাধারণত
দুটি চাবি থাকে। এর মধ্যে লকারের সমস্ত চেম্বারের জন্য একটা মাস্টার চাবি থাকে। যা
আমাদের একজন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকে। আরেকটি চাবি থাকে লকার ব্যবহারকারীর
কাছে। একসঙ্গে দুটি চাবি ব্যবহার করেই তবে লকার খোলা যায়। কেউ লকার খুলতে এলে, ব্যাংকের অফিসার প্রথমে মাস্টার কি ঘুরিয়েই আমাদের তরফ থেকে চেম্বার খোলা হয়। পরে ওই অফিসার
রুম থেকে বেরিয়ে আসেন।
লকারে কী আছে, তা ব্যাংকের জানা নেই এবং লকারের ভেতরে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা থাকে না বলে জানান তিনি।
ক্ষতিপূরণের
বিষয়ে এস এম শফিকুল মাওলা চৌধুরী বলেন, লকারে চুরির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে এই জাতীয় চুরি, ডাকাতি কিংবা রাহাজানির ঘটনা ঘটলে গ্রাহকের সঙ্গে চুক্তি
অনুযায়ী তিনি ইনস্যুরেন্স কাভারেজ পাবেন। ওনার মাঝারি আকারে লকার হওয়ায় ইনস্যুরেন্স
কাভারেজ হিসেবে তিনি দুই লাখ টাকা পাবেন।
ভুক্তভোগী
গ্রাহকের অভিযোগ, তার চুরি যাওয়া
স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকার ওপরে।