চেমসফোর্ডে আজ প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ২৪৭ রানের
টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিং করতে নামা টাইগাররা ১৫ রানেই দুই ওপেনার
লিটন কুমার দাস ও তামিম ইকবালকে হারায়। এই ধাক্কার রেশ ছিল পর্যন্ত। তবু ‘বার্থডে
বয়’ মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে ৫০ ওভারশেষে ৯ উইকেটে ২৪৬ রান তুলতে সমর্থ হয়
বাংলাদেশ।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে ৪৪ বল খেলে বোর্ডে ৩৭
রান যোগ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান। ভালো খেলার ইঙ্গিত দিয়েও শেষ
পর্যন্ত ২১ বলে ২০ রান করে গ্রাহাম হিউমের শিকার হন সাকিব।
এরপর বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে দুর্দান্ত মৌসুম
কাটানো তৌহিদ হৃদয় ও শান্ত ৬৩ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ে দলকে স্থিতি এনে দেন। দলের
রান ১০০ টপকানোর পর বিদায় নেন শান্ত। ৬৬ বলে ৪৪ রান করেন এই বামহাতি ব্যাটার।
তৌহিদ হৃদয়ও খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি। তিনি মুশফিকের সঙ্গে ২০ রানের জুটি গড়ে
ফিরে যান সাজঘরে।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ৬৬ বলে ৬৫ রানের কার্যকর এক
জুটি গড়েন মুশফিক। তৌহিদের মতো মিরাজও ঠিক ২৭ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন।
স্বীকৃত সব ব্যাটারের বিদায়ের পরও দমে যাননি মুশফিক। তিনি
স্পিনার তাইজুল ইসলামকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়ে দলের সংগ্রহটা দুশ পার করান। ৭০
বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে অবশেষে থামেন তিনি। তাকে আউট করেন জস লিটল (২২০/৭)। এরপর
শরিফুল ইসলাম (১৬) ও তাইজুলের (১৪) ব্যাটে ভর করে আড়াইশ ছুঁই ছঁই সংগ্রহ পায় তামিম
ইকবাল বাহিনী।
লিটল ৬১ রানে তিনটি এবং মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্রাহাম হিউম
দুটি করে উইকটে নেন।
এর আগে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে জস লিটলের শিকার হয়ে সাজঘরে
ফেরেন লিটন কুমার দাস। তাকে লিগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন গুজরাট টাইটান্সের হয়ে সদ্য
আইপিএল খেলে আসা লিটল।
এরপর চতুর্থ ওভারে পেসম্যান মার্ক অ্যাডায়ারের শিকার হন
অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আউট হওয়ার আগে অবশ্য ভালোই খেলছিলেন তিনি। ১৯ বলে ১৪ রান
করেন তামিম।
গত মার্চে সিলেটে সফরকারী
আয়ারল্যান্ডকে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০তে হারায় বাংলাদেশ। পরে তিন ম্যাচের টি২০
সিরিজটা ২-১-এ জেতার পর একমাত্র টেস্টেও প্রতিপক্ষকে হারায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। সম্প্রতি
তিন ফরম্যাটে আইরিশদের হারানোর পর আরেকবার তাদের মুখোমুখি বাংলাদেশ।