ছয় মাসে পুঁজিবাজার ছেড়েছেন এক লাখের বেশি বিনিয়োগকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

চলতি বছরের শুরু থেকে পুঁজিবাজারের মন্দা অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। অব্যাহত দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। মন্দার কারণে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার ছাড়ছেন। এ বছরের এখন পর্যন্ত (১ জানুয়ারি-২০ জুন) শেয়ারধারী বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব কমেছে ৮৯ হাজার ৫৮৯টি। অন্যদিকে কোনো শেয়ার না থাকা বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৮৪৪টি।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি শেয়ারধারী বিও হিসাব সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ১২ হাজার ৬৪১। সর্বশেষ ২০ জুন তা কমে দাঁড়ায় ১৩ লাখ ১২ হাজার ৬৪১টিতে। ১ জানুয়ারি শেয়ার না থাকা বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ৯০১। ২০ জুন তা বেড়ে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৫টিতে উন্নীত হয়। 

সিডিবিএলের তথ্যমতে, ১ জানুয়ারি মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১। ২০ জুন তা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ২৪৪টিতে। ১ জানুয়ারি পুরুষ বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৫৩, যা ২০ জুন ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৬৩-এ দাঁড়িয়েছে। সে হিসাবে প্রায় ছয় মাসে পুরুষ বিও হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৪ হাজার ৬৯৩টি। অন্যদিকে নারী বিও হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫৬। ১ জানুয়ারি শেষে পুঁজিবাজারে নারী বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২৯ হাজার ৪৮৭, যা ২০ জুন শেষে ৪ লাখ ৩১ হাজার ১৪৩-এ দাঁড়িয়েছে।

২০ জুন ব্যক্তিগত বিও হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৫৯ হাজার ৪৬৩, যা ১ জানুয়ারি ছিল ১২ লাখ ৪২ হাজার ৯৫৮টি। প্রায় ছয় মাসের ব্যবধানে ব্যক্তিগত বিও হিসাব কমেছে ১৬ হাজার ৫০৫টি। ২০ জুন যৌথ বিও হিসাব দাঁড়ায় ৫ লাখ ১১ হাজার ১৪৩টিতে, যা ১ জানুয়ারি ছিল ৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৮২টি।

গত সপ্তাহ শেষে দেশী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৯৫, ১ জানুয়ারি যা ছিল ১৭ লাখ ১ হাজার ১৫৫। এ হিসাবে দেশী বিনিয়োগকারী বেড়েছে ১৪ হাজার ৯৪০ জন। একই সময়ে বিদেশী বিনিয়োগকারী কমেছে ৭৭৪ জন। ২০ জুন বিদেশী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৫১১, ১ জানুয়ারি যা ছিল ৫৫ হাজার ২৮৫।

গত ৫ জানুয়ারি সমাপ্ত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পাশাপাশি লেনদেন প্রায় ২১ শতাংশ কমে। ওই সময় আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেরও (সিএসই) সার্বিক সূচক ও লেনদেন নিম্নমুখী ছিল। ওই সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ডিএসইতে ১ হাজার ৫৯৭ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয় এবং ডিএসইএক্স সূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৪৪ পয়েন্টে। এর পর থেকে আরো নিম্নমুখী হতে থাকে সূচক ও লেনদেন। সর্বশেষ ২০ জুন সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৫৩ কোটি টাকা এবং ডিএসইএক্স সূচক দাঁড়ায় ৫ হাজার ২৪৪ পয়েন্টে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন